ঠিকানার নতুন পরিচয় ‘ডিজিপিন ‘

ঠিকানার নতুন পরিচয় ‘ডিজিপিন ‘

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৩ জুন, ২০২৫

এতদিনের ডাকব্যবস্থার পিন কোডের যুগের অবসান হল। ভারতীয় ডাক বিভাগের তত্ত্বাবধানে পিনকোডের বিকল্প হিসেবে চালু হল “ডিজিপিন” নামক একটি নতুন ডিজিটাল ঠিকানা ব্যবস্থা। এখন থেকে দেশে ঠিকানার জন্য ব্যবহৃত হবে এই ডিজিপিন। প্রচলিত পিনকোডের দ্বারা একটি বিস্তৃত অঞ্চল নির্দেশিত হত। কিন্তু ডিজিপিন নির্দিষ্ট ভাবে কোনো ব্যক্তির বাড়ি বা ব্যবসা ক্ষেত্রের সঠিক অবস্থান নির্দেশ করবে।

পিন কোড এবং ডিজিপিনের পার্থক্যটা ঠিক কোথায় ?
ভারতীয় ডাক বিভাগ নির্ভুল অবস্থান চিহ্নিত করার জন্য ডিজিপিন চালু করেছে। ডিজিপিন হলো ১০টি সংখ্যার ডিজিটাল কোড। প্রচলিত পিনকোড যেখানে একটা বড়ো এলাকাকে নির্দেশ করে , সেখানে ডিজিপিন দ্বারা একদম নির্দিষ্ট অবস্থানটি জানা যায়।
এই ডিজিপিনের সবচেয়ে সুবিধা হল , এটি সঠিক জায়গায় চিঠি বা পার্সেল পৌঁছাতে সাহায্য করবে, এবং অ্যাম্বুলেন্স , দমকলের মতো জরুরি পরিষেবাগুলি নির্ভুলভাবে যথাযথ ঠিকানায় পৌঁছাতে পারবে।
আশা করা যাচ্ছে , ডিজিপিন প্রত্যন্ত এলাকাসহ গ্রামাঞ্চলে বেশ উপকারী হবে। এমনও দাবি করা হচ্ছে যে শুধুমাত্র ডাকযোগে চিঠিপত্র নয় , ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলিতেও ডিজিপিন ব্যবহার করে সঠিক স্থানে পণ্য পাঠানো সম্ভব হবে।

একজন ব্যক্তি কিভাবে তার ডিজিটাল পিন কোডটি জানতে পারবে ? সেক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে তাঁর অবস্থান চিহ্নিত করে ক্লিক করলেই ১০ সংখ্যার ডিজিপিন পেয়ে যাবেন। ডিজিপিনের বিশেষত্ব হলো এটি প্রায় ৪ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে সঠিক অবস্থান চিহ্নিত করতে পারে।

ভারতীয় ডাকবিভাগ আই আই টি হায়দ্রাবাদ, এন আর এস সি এবং ইসরোর সহযোগিতায় এই ভূ-সংকেতযুক্ত ডিজিটাল ঠিকানা ব্যবস্থা তৈরী করেছে। ডিজিপিন কিন্তু অফলাইনেও ব্যবহারযোগ্য।
এই ডিজিটাল পিন কোডের মাধ্যমে একেবারে নির্ভুল অবস্থান নির্ণয় ডাক ব্যবস্থাপনায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে এবং ভবিষ্যতে এটির সুদূরপ্রসারী সুফল আশা করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 + 6 =