ডিম খাওয়া ভালো না খারাপ?

ডিম খাওয়া ভালো না খারাপ?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের প্রিয় খাবার ডিম। কিন্তু ডিম খাওয়া ভালো না খারাপ তা নিয়ে বিস্তর দ্বিধাদ্বন্দ্ব। ডিমপ্রেমীদের জন্য কিছুটা সুখবর – ক্যালিফোর্নিয়া সান দিয়েগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ৮৯০ জন পুরুষ ও মহিলাদের স্বাস্থ্যের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছেন যে সপ্তাহে দুটো থেকে চারটে ডিম রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে। ১৯৮৮ সালে শুরু হয়ে ৪ বছর ব্যাপী চলা মধ্যবয়সী বা বয়স্কদের ওপর করা বার্ধক্য অধ্যয়নের তথ্য তারা বিশ্লেষণ করেন। তাদের গবেষণা নিউট্রিয়েন্টস-এ প্রকাশিত হয়েছে।
তারা দেখেন ৫৩১ জন মহিলাদের মধ্যে, যারা বেশি ডিম খেয়েছিলেন, তাদের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতি অটুট ছিল। এই গোষ্ঠীর পুরুষদের মধ্যে বেশি ডিম খাওয়ার সাথে বৌদ্ধিক দিকের কোনো যোগ দেখা না গেলেও, অন্য দশকের কোহর্টে পুরুষদের ক্ষেত্রে ডিম খাওয়ার সুফল দেখা গেছে। এক্ষেত্রে অন্য কোনো ফ্যাক্টর কাজ করে বলে গবেষকরা মনে করেছেন। তা তারা আরও গবেষণা করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। UCSD-এর জনস্বাস্থ্য গবেষক ডোনা ক্রিটজ-সিলভারস্টেইন এবং রিকি বেটেনকোর্ট বলেন, উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল থাকলেও ডিমের কোনো ক্ষতিকারক প্রভাব নেই আর সময়ের সাথে সাথে জ্ঞানীয় কার্যকারিতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে এর ভূমিকা রয়েছে। বছর পঞ্চাশ যাবত মানুষকে কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ প্রাণীজ পণ্য যেমন ডিম, মাখন বা ক্রিম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ এই খাবারগুলো রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়, কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়ায় বলে মনে করা হত। এই পরামর্শ ডায়াবেটিস বা কিছু রোগের ক্ষেত্রে বলবত থাকতে পারে। কিন্তু নতুন প্রমাণ অনুযায়ী স্যাচুরেটেড ফ্যাট, চিনি এবং সোডিয়াম ধমনীতে প্লাক তৈরির প্রধান অবদানকারী, কিন্তু খাদ্যতালিকার আওতাভুক্ত কোলেস্টেরল থেকে ধমনী ব্লক হয়না। আবার কিছু খাবারে কোলেস্টেরল থাকলেও সেখানে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। কিন্তু ডিম ও শেলফিসে তা থাকেনা। ডিম হল কম ফ্যাট, উচ্চ প্রোটিনযুক্ত দারুণ পুষ্টিকর এক খাবার, যা শরীরের কোলেস্টেরল কমানোর পাশাপাশি বৌদ্ধিক হ্রাস রোধ করে।