গত ১৪ই অক্টোবর, শুক্রবার জাপানি কোম্পানি তাকেদা-র তৈরি ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে ইউরোপিয়ান মেডিসিন্স এজেন্সি। চার বছর বা তার বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যাবে তাকেদা ভ্যাকসিন।
ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটে ঘনিষ্ঠ প্রকরণ (ভ্যারিয়েন্ট) কোনও রকম জটিল উপসর্গ সৃষ্টি করে না আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে। শতকরা ৮০ ভাগ ডেঙ্গু সংক্রমণ এমনটাই। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে মারাত্মক ডেঙ্গু হতে পারে যার ফলে অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া, রক্তক্ষরণ আর বমির মতো লক্ষণ দেখা দেয়। শেষমেশ মৃত্যু। ১৩০টা দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিপদ, যার মধ্যে শুধু এশিয়াতেই আক্রান্তদের ৭০ শতাংশ।
১৫ মাসের শিশু থেকে ৬০ বছর বয়সীদের মধ্যে ২৭০০০ স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে মোট ১৯টা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়ে গেছে তাকেদা ভ্যাকসিনের। ইউরোপিয়ান মেডিসিন্স এজেন্সি এমনটাই ঘোষণা করেছে। দেখা যাচ্ছে ভ্যাকসিনের প্রয়োগে জ্বর, জটিল উপসর্গ আর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই আটকানো গেছে।
এর আগে ২০১৫ সালে মেক্সিকো সরকার ডেঙ্গুভ্যাক্সিয়া নামক এক ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছিল। কিন্তু শিশুদের মধ্যে ঐ ভ্যাকসিন বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করেছিল। তাই বাতিল হয় ডেঙ্গুভ্যাক্সিয়া। তাকেদা সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেবলমাত্র ইন্দোনেশিয়াতেই এখনও অবধি তাকেদা ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি আছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ইউরোপিয়ান মেডিসিন্স এজেন্সিও শুরু করবে নতুন এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ।