মরুভূমি বরাবর দুটো বিশাল বাড়ি। তার মধ্যে গোটা শহর! এই শহরে কী নেই। কৃষি জমি, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, খেলার মাঠ থেকে শুরু করে বাজার রেল স্টেশন। সেখানেই শেষ নয়, রাখা হবে উড়ন্ত ট্যাক্সি চলার ব্যবস্থা, রোবট দাসদাসীও! শহরের নাম নিওম দ্য লাইন! রূপকথা মনে হলেও সত্যি। এই রূপকথার মরুশহর তৈরি হচ্ছে সৌদি আরবে। পরিকল্পনা ও উদ্যোগের স্রষ্টা সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। ১৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি সমান্তরাল অট্টালিকা তৈরি হচ্ছে। যার উচ্চতা ১৬০০ ফুট। লোহিত সাগর থেকে শুরু করে মরুভূমি মধ্যে দিয়ে সরলরৈখিকভাবে বিস্তৃত হবে এই শহর।
২০১৭-এ প্রথম এই শহর তৈরির ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন যুবরাজ সলমন। তারপর থেকে শুরু হয় পরিকল্পনা। কিন্তু খবর প্রকাশ্যে আসতেই শহরের বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে গত পাঁচ বছরে একাধিক বার শহরের পরিকল্পনা পরিবর্তন হয়েছে। যে কারণে আদৌ এই শহর নির্মাণ হওয়া নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছিল।
কিন্ত শেষপর্যন্ত সৌদি যুবরাজের আশ্বাস, ২০৩০-এর মধ্যে সম্পূর্ণ দূষণহীন এই শহর তৈরি হয়ে যাবে। প্রথমে বলা হয়েছিল এই শহরে থাকবে ১০ লক্ষ মানুষ। তবে পরে সেটি বাড়তে থাকে। সলমনের কথায়, ২০৩০ সালের মধ্যে এই শহরের জনসংখ্যা ১২ লক্ষ হবে, ২০৪৫ সালের মধ্যে সেই সংখ্যা ৯০ লক্ষে পৌঁছে যাবে। বিশ্বের সেরা স্থপতিদের দিয়ে তৈরি করা হবে এই শহর। এই দুই অট্টালিকার মধ্যেই থাকবে যাবতীয় সুযোগ সুবিধা। সবুজে মোড়া থাকবে শহর। আরও জানানো হয়েছে, এই শহরের বাসিন্দারা যাবতীয় রকমের সুযোগ সুবিধা পাবেন। এমনকী, বাড়ির নিচ দিয়ে একটি হাই-স্পিড ট্রেনও চলবে! সৌদি যুবরাজের কথায়, এই শহর এটি বিশ্বের প্রথম মাধ্যাকর্ষণহীন শহর হতে চলেছে। অর্থাৎ, স্কুল-কলেজ, ঘরবাড়ি, পার্ক ইত্যাদি তৈরি হবে স্তরে স্তরে। সৌদি আরবের যুবরাজের কথায়, ২০৩০ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের যে অংশের কাজ হবে তার জন্য খরচ হবে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ২৫ লক্ষ কোটি টাকা!