মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরের বিশাল অংশ জুড়ে একসময় ছিল প্রচুর সিলিফ্লাওয়ার গাছ। ওই অঞ্চল জুড়ে বড় বড় কারখানা এবং শহর তৈরি হওয়ার পর বহু বছর ধরে ঐ সিলিফ্লাওয়ার গাছগুলোকে দেখা যায় রাস্তার ধারে, ছোট ছোট জলাভূমির ধারে, বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে!
কিন্তু বিজ্ঞানীদের কাছে ওই বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে থাকা সিলিফ্লাওয়ার গাছগুলো মহার্ঘ্য এক একটা বস্তু। কারণ, সুর্যমুখী গাছের ওই লম্বা লম্বা কাণ্ডযুক্ত ভাই (সিলিফ্লাওয়ার) থেকে বার করা যেতে পারে তৈলবীজ! কীভাবে বার করা যেতে পারে? সৌর শক্তির সহায়তায়।
মিনেপোলিস অঞ্চলে ৯টা সৌরকেন্দ্র ইতিমধ্যে স্থাপন করে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। সেখানে সিলিফ্লাওয়ার উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণা এবং এবং তৈলবীজ ফসলের উৎপাদনের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। আর প্রচুর পরিমাণে সিলিফ্লাওয়ার গাছ সেখানে সংরক্ষণ করা আছে বলে সেই গাছগুলোকে ঘিরে বাস হয়ে উঠেছে মৌমাছি, প্রজাপতি আর হামিংবার্ডের। শষ্য বিজ্ঞানী এবোনি মারেল জানিয়েছেন, তাদের আরও জমির প্রয়োজন। তিনি বলেছেন, “আমরা দেখতে চাই সিলিফ্লাওয়ারের ওপর পরাগবাহকদের কোনও প্রভাব পড়ে কি না।” মিনেপোলিসের বহু অঞ্চলে এখন সৌরশক্তির সহায়তায় চাষের কাজ চলছে। কল কারখানাতেও বসানো হয়েছে সৌরশক্তি কেন্দ্র। বিশেষভাবে, মিনেপোলিস অঞ্চল জুড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য ও বাতিল করে দেওয়া জমি। সেখানেই তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে সৌর শিল্পের প্রসার! জমির মালিক থেকে, কারখানার মালিক, চাষী-প্রত্যেকেই আবার তাদের নিজেদের ব্যবসা থেকে লাভের মুখ দেখবে আর একইসঙ্গে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ অনেক কমে যাবে!