দূষণ তালিকায় কলকাতা দ্বিতীয়

দূষণ তালিকায় কলকাতা দ্বিতীয়

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা।
Posted on ১৯ আগষ্ট, ২০২২

দূষণ রোধে কলকাতা পুরসভার ১৩ দফা নির্দেশিকা ‘উড়িয়ে দিয়ে’ শহর বোঝাল, কলকাতা আছে কলকাতাতেই! অন্তত শহরের পরিবেশবিদ মহলের একাংশের এমনই মত। এ ক্ষেত্রে তাঁরা বুধবার আমেরিকার এক গবেষণাকারী সংস্থার বায়ুদূষণ সংক্রান্ত রিপোর্টের প্রসঙ্গ তুলে ধরছেন। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, বাতাসে ভাসমান অতিসূক্ষ্ম ধূলিকণার (পিএম২.৫) উপস্থিতির নিরিখে বিশ্বের শহরগুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। দিল্লির পরেই।
রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৯ সালে কলকাতায় প্রতি ঘনমিটারে পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল ৮৪ মাইক্রোগ্রাম। শীর্ষে ছিল দিল্লি (পিএম২.৫-এর উপস্থিতি প্রতি ঘনমিটারে ১১০ মাইক্রোগ্রাম)। যেখানে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, বাতাসে পিএম২.৫-এর বার্ষিক উপস্থিতির নির্ধারিত মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে ৪০ মাইক্রোগ্রাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্ষেত্রে তা প্রতি ঘনমিটারে ন্যূনতম ৩৫ মাইক্রোগ্রাম। ফলে সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতার বাতাসে পিএম২.৫-এর উপস্থিতি উভয় সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার থেকেই বেশি। ‘হাউজ়হোল্ড অ্যাক্টিভিটিজ়’ বাদে বাতাসে পিএম২.৫-এর উপস্থিতির অন্যতম কারণ পথের ধুলো এবং নির্মাণস্থলের দূষণ। এই দূষণ রোধ করতেই জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে কিছু নিয়মবিধি জারি করেছিল কলকাতা পুরসভা। ১৩ দফা সেই নিয়মবিধির মধ্যে রয়েছে ধুলো আটকাতে নির্মাণস্থল ঢেকে রাখা, নির্মাণ সামগ্রী আচ্ছাদনে মোড়া, রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী না-রাখা, পুরনো বাড়ি ভাঙার সময়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ, রাস্তার ধুলো নিয়ন্ত্রণে ‘ওয়াটার স্প্রিঙ্কলার’-এর মাধ্যমে জল দেওয়া-সহ আরও কিছু। বলা হয়েছিল, নির্মাণের সময়ে দূষণবিধি মান্য করার মুচলেকা দিলেই নির্মাতা এবং ডেভেলপারদের বিল্ডিংয়ের প্রস্তাবিত নকশা অনুমোদন করা হবে। কিছুই কার্যকর হয়নি।