দূষণে বদলে যাচ্ছে মাছের চরিত্র

দূষণে বদলে যাচ্ছে মাছের চরিত্র

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

সমুদের জলে দূষণ। এ তো নতুন কথা কিছু নয়। রাসায়নিক দূষণে হেন কিছু নেই যে সমুদ্র বা গঙ্গা, পদ্মার বড় নদীতে ফেলা হচ্ছে না! প্লাস্টিক, কেমিক্যাল দূষণ, আবর্জনা, নর্দমার কাদা-আরও অনেক কিছুই প্রতিনিয়ত জলে ফেলা হচ্ছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই দূষণে সবচেয়ে ক্ষতি হচ্ছে মাছের। এত রকমের দূষণের মধ্যে বিজ্ঞানীদের অভিজ্ঞতা, কেমিক্যাল দূষণেই তাদের সবচেয়ে ক্ষতি হয়। এ তো স্বাভাবিক ব্যাপার। বিজ্ঞানীরা শ্যামন মাছের উদাহরণ দিয়েছেন। বলেছেন কেমিক্যাল দূষণে তাদের গন্ধ চলে যায়। যে কারণে তাদের খাওয়াদাওয়াও বন্ধ হতে থাকে। ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলা মানে মাছেদের অন্য কাজও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। যার মধ্যে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ তিমি, হাঙ্গরের মাছ ধরে খাওয়ার প্রাণীদের গতিবিধি আগে থেকে বুঝতে পারা। ঘ্রাণেই মাছ বুঝতে পারে সমুদ্রের জলে কোথায়, কতদূরে রয়েছে কোনও তিমি বা হাঙ্গর। সেই বুঝে মাছেরা পালাতে পারে।

এই ব্যাখ্যা নতুন নয়। প্রায় গত দশ বছর ধরে চলা গবেষণার ফল। কিন্তু সিয়াটেলে নর্থ আমেরিকান ফিশ সায়েন্স সেন্টারের বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক গবেষণায় নতুন তথ্য বেরিয়ে এল। দূষণে চরিত্রও বদলে যাচ্ছে অনেক মাছের। চরিত্র বদলানো মানে, তাদের ধরে খায় যে প্রাণীরা, তাদের দেখলেও সেই মাছগুলোর লড়াই করার মানসিকতা তৈরি হচ্ছে! তারা একসঙ্গে দল বেঁধে লড়াই করছে হাঙ্গরদের বিরুদ্ধে। কোনও কোনও মাছের মধ্যে আবার দেখা যাচ্ছে ডিপ্রেশন এসে যাচ্ছে। সে অনেকক্ষণ ধরে না খেয়েও থাকছে! বিজ্ঞানীরা জানাছেন সামগ্রিকভাবে দূষণের প্রভাব পড়ছে মাছেদের ডিম পাড়ার কাজে। সেই কাজ তারা করতে পারছে না আগের মতো স্বচ্ছন্দে। যার প্রতিফলনে বংশবৃদ্ধির বদলে ঘটছে বিলুপ্তি!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 2 =