ধাতু-সমৃদ্ধ গ্রহাণুর খোঁজে

ধাতু-সমৃদ্ধ গ্রহাণুর খোঁজে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১০ অক্টোবর, ২০২১

সাহিত্যিক জুলে ভার্ণের সেই বিখ্যাত উপন্যাস ‘জার্নি টু দ্য সেন্টার অফ আর্থ’। উপন্যাসে জুলে ভার্নে লিখেছিলেন পৃথিবীর অন্তস্থলে রয়েছে ধাতুর একটা বিশাল শাঁস! সেই উপন্যাস উজ্জ্বীবিত করেছে নাসার মহাকাশবিজ্ঞানীদের। সেই ভাবনা থেকেই নাসা আগামী বছর মহাকাশে পাঠাচ্ছে আরও একটি মহাকাশযান। নাম দেওয়া হয়েছে ‘সাইকি মিশন’। মহাকাশযানটি যাচ্ছে এক বিশাল গ্রহাণুর খোঁজে! টেলিস্কোপ ও অত্যাধুনিক রাডারের সহায়তায় মহাকাশবিজ্ঞানীরা এখনও পর্যন্ত জেনেছেন, গ্রহাণুটি চওড়ায় ২৮০ কিলোমিটার! গ্রহাণুদের মূল কক্ষে থেকেই এই গ্রহাণুটি সুর্যকে প্রদক্ষিণ করছে মঙ্গল আর বৃহস্পতির মধ্যে দিয়ে। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, গ্রহাণুটির ভেতর পাথর না থাকারই মত। অধিকাংশটাই তৈরি হয়েছে ধাতু দিয়ে! বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, সৌরজগতে কোনও সময় সৃষ্টি হওয়া সম্পূর্ণভাবে লৌহ ধাতুর কোনও পদার্থের অংশবিশেষ এই গ্রহাণু! যে কারণে এই গ্রহাণুকে ‘রহস্যময়’ও বলছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবী থেকে অত্যাধুনিক টেলিস্কোপে দেখে বিজ্ঞানীদের ধারণা গ্রহাণুটিতে ৯০ শতাংশই ধাতু রয়েছে! মহাকাশযানটি অনুসন্ধান করবে কেন ওই গ্রহাণুটিতে আয়রন-অক্সাইড কম রয়েছে। রাসায়নিক এই পদার্থ পৃথিবী ছাড়াও মঙ্গল, বৃহস্পতি, বুধ এবং শুক্রেও রয়েছে। মহাকাশযানটি অনুসন্ধান করে দেখবে গ্রহাণুতে চৌম্বক ক্ষেত্র আছে কি না। সাধারণত গ্রহাণুতে চৌম্বক ক্ষেত্র থাকে না। পৃথিবীর যেরকম থাকে। যদি এই রহস্যময় গ্রহাণুতেও চৌম্বক ক্ষেত্র থাকে তাহলে বিজ্ঞানীরা আরও নিশ্চিত হবেন যে এই গ্রহাণু আর পাঁচটি গ্রহাণুর মত নয়, ধাতুই একে বাকিদের চেয়ে আলাদা করে দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − eleven =