পৃথিবী এবং তার যাবতীয় প্রাণের অন্যতম উৎস সুর্য। কিন্তু জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা বলছেন, ধ্বংসেরও উৎস হতে পারে সুর্য! সুর্যের উত্তর-পূর্ব দিকের একটি অংশে জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন ঝাপসা এক কণা যেখানে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরণ হয়ে চলেছে! মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রায় পাঁচ ঘন্টা ধরে জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা সুর্যের এই অংশের কার্যকলাপ রেকর্ড করেছেন। দেখেছেন অন্তত আধ ডজন বিস্ফোরণ হয়েছে সেখানে। নাসা এখনও নির্দিষ্টভাবে জানাতে পারেনি বিস্ফোরণগুলোর চরিত্র। তাদের আশা, যেহেতু সুর্যকে প্রদক্ষিণ করে পৃথিবী, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এই কার্যকলাপ সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে বিশ্লেষণ করতে পারবেন জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা।
সুর্যের নিজস্ব সৌর চৌম্বকক্ষেত্র আছে। তার বৃত্তটা ১১ বছর অন্তর সম্পূর্ণ হয়। জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা মনে করছেন ২০২১ আবার সেই বৃত্তের শুরু হতে পারে। জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের মতে, সৌর চৌম্বকক্ষেত্রের বৃত্ত শুরু হওয়ার সময় সুর্যের কোনও কোনও অংশে এরকম স্পট দেখা যায়। বৃত্তটা যত বাড়তে থাকে, কার্যকলাপ তত বাড়তে থাকে আর নানারকমের সৌর কণা মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে। মহাজাগতিক রশ্মিগুলো তখন কিছুতেই সৌর চৌম্বকক্ষেত্র ভেঙে ঢুকতে পারে না। যে এনার্জি মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে সেটা কতটা শক্তিশালী?
জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন কয়েক লক্ষ ১০০ মেগাটন হাইড্রোজেন বোমা একসঙ্গে ফাটলে যে পরিমাণ শক্তি উৎপাদন হয়, ততটা! এবছর জুলাইয়ে সুর্যপৃষ্ঠে এরকম একটি বিস্ফোরণ হয়েছিল। জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা বলছেন ২০১৭-র পর এত বড় বিস্ফোরণ এটাই ছিল। তাতে আটলান্টিকের ওপর ‘রেডিও ব্ল্যাকআউট’ হয়ে গিয়েছিল