নতুন পৃথিবীর সন্ধান!

নতুন পৃথিবীর সন্ধান!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৪ জুলাই, ২০২৪
নতুন-পৃথিবী

মহাকাশ বড় বিস্ময়কর জায়গা। শহরতলি ছাড়িয়ে পলিউশন হটিয়ে একটু ভিতরে গেলেই, চোখে পড়তে পারে নক্ষত্র-খচিত রাত। বিশেষত এই বৃষ্টি ভেজা দিনের শেষে, পরিষ্কার ঝকঝকে একটা আকাশে। আর যদি টেলিস্কোপে রাখি চোখ! পলকে ধরা দেবে আলোকবর্ষ দূরে থাকা নতুন কোনো তারা কিংবা অজানা কোনো গ্রহ।

প্রাণ আর বসতি স্থাপনের উপযোগ্য হতে পারে কোনটা- তারই চলছে অনুসন্ধান। ২০১৫ সালে প্রথম কেপলার টেলিস্কপ এক নতুন গ্রহের উপস্থিতি আমাদের কাছে তুলে ধরে। সম্প্রতি জেমস ওয়েব টেলিস্কপও একই তথ্য দিচ্ছে- K218B। পৃথিবী থেকে ১২৪ আলোকবর্ষ দূরে, লিও নক্ষত্রপুঞ্জের মধ্যে অবস্থিত এই K218B। আকারে পৃথিবীর থেকে ২.৬ গুন বড়। গ্রহটিতে মিলেছে হাইড্রোজেন এর সন্ধান। বিজ্ঞানীরা বলছেন এই গ্রহে থাকতে পারে আমাদের মতো সুমুদ্র। কারণ, এর পরিবেশে মিলেছে জলীয় বাষ্পর উপস্থিতির প্রমান।
সূর্যের এতো কাছে থেকেও, এর মধ্যে জলের সন্ধান পাওয়া কিভাবে সম্ভব? আসলে K218B যে তারাকে প্রদক্ষিণ করছে, সেটা একটা ছোটো মাপের এম টাইপ তারা। যা সূর্যের থেকে অনেক ছোট এবং ঠাণ্ডা। এইধরনের ছোটো তারাদের প্রদক্ষিণকারী গ্রহগুলোর হ্যাবিটেবিল জোন হয়, অনেক ছোট। ফলত এই গ্রহ তার নিয়ন্ত্রক নক্ষত্রকে মাত্র ৩৩ দিনে একবার প্রদক্ষিণ করে ফেলতে পারে। অর্থাৎ, এই গ্রহে আমরা বাস করলে আমাদের ৩৬৫দিনের জায়গায় ,৩৩ দিনে বছর হতো।
সম্প্রতির এক গবেষণা বলছে, এই গ্রহে বিজ্ঞানীরা ডাইমিথাইল সালফেট (CH3O)2SO2 এর অস্তিত্ব পেয়েছেন। সুমদ্রের ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন ছাড়া, অন্য কোন প্রাকৃতিক উপায়ে এই গ্যাস তৈরি হয় না। গ্রহ আবিষ্কার ও তার মধ্যে প্রাণের অস্তিত্ব নিশ্চিতকরণ এর মধ্যে এক বড় ভুমিকা পালন করবে, এই ডাইমিথাইল সালফেটের খোঁজ। যদিও কোনোকিছু প্রমান সহ সঠিক ভাবে বলার জন্য, এটা একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়। তবু ডাইমিথাইল সালফেট এর অস্তিত্বের প্রমান মেলায় বিজ্ঞানীরা উচ্ছ্বসিত।