নতুন প্রযুক্তিতে উন্মোচিত হবে প্রাচীন ভূভাগ

নতুন প্রযুক্তিতে উন্মোচিত হবে প্রাচীন ভূভাগ

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৯ মে, ২০২৩

অস্ট্রেলিয়ার উত্তর প্রান্তে আর্নহেম ল্যান্ডে প্রতি বছর বহু পর্যটক ভিড় জমান। খাড়াই পাহাড়, পাখিদের বৈচিত্র্য আর পাথরের গায়ে অবিস্মরণীয় শিল্পকর্ম। সব মিলিয়ে জমজমাট এক কেন্দ্র। কিন্তু এই ভূভাগের অন্দরেই যে ৬৫০০০ বছরকার পুরনো মানুষদের পদচিহ্ন লুকিয়ে আছে, সে আর কে জানত!
কিন্তু আর্নহেম ল্যান্ডে ঘুরতে গিয়ে মানুষ যা দেখে না তা হল এই অঞ্চলের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা বন্যাপ্রবন সমতল। মনসুনের সময় পুরোটাই ডুবে থাকে জলের তলায়। এইসব ফ্লাডপ্লেন (বন্যাতট) নিয়ে সম্প্রতি গবেষণা হয়েছে। প্লস ওয়ান পত্রিকাতে প্রকাশ পেয়েছে সেই গবেষণাপত্র। এই বিস্তীর্ণ বন্যাতটের নিচে লুকিয়ে আছে প্রাগৈতিহাসিক জটিল কৃষিক্ষেত্র। অধুনা যে সমতলে মানুষ ছুটি কাটায়, তা থেকে মাটির নিচে ১৫ মিটার গভীরেই রয়েছে সেই জমির চিহ্ন যেখানে বহু প্রাচীন কালে মানুষের জীবনের স্বাদ মিশে ছিল।
অস্ট্রেলিয়া এমন এক মহাদেশ যা গঠনগত ভাবে নবীন। যখন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১২০ মিটারের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছিল, তখন সৈকতও এগিয়ে আসে। ২০০ কিলোমিটার দূরে একদিন যে সমুদ্র ছিল, তারই ঢেউ ফ্যানা জল এখন ধাক্কা খায় আর্নহেমের খাড়াই পাহাড়ে। সেই পরিবর্তনের সময় থেকেই ইস্ট অ্যালিগেটর নদীটা এই অঞ্চলে পলিমাটি আমদানি করেছে প্রচুর পরিমাণে। তখন থেকেই বন্যা, চাষজমি সৃষ্টির পরম্পরা ছিল।