নতুন যোগাযোগ মাধ্যমের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা

নতুন যোগাযোগ মাধ্যমের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৫ নভেম্বর, ২০২১

একসময় যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যবহৃত হত ফ্লেয়ার বা সেমাফ্লোরের মত যন্ত্র। বিপদ সংকেত পাঠাতে বা বার্তা পাঠাতে। টেলিগ্রাফের সৌজন্যে বার্তা পাঠানো থেকে শুরু করে বেতার বা আজকের ইন্টারনেট ব্যবস্থার যুগান্তকারী উদ্ভাবন-সবের পেছনে রয়েছে বিদ্যুৎ। আরও পরিষ্কারভাবে বলতে হলে তড়িৎ-চুম্বকীয় বিকিরণ। এবার তার চেয়েও অভিনব এক যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যম খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা। ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এবং স্লোভানিয়ার জোসেফ স্টেফান ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের যৌথভাবে করা গবেষণায় এবার অত্যন্ত দ্রুত গতিসম্পন্ন নিউট্রনের মাধ্যমে তথ্যপ্রেরণ সম্ভব হল। এবং তরঙ্গ ছাড়াই তৈরি হল ওয়্যারলেস ব্যবস্থা। এই সাফল্যে তেজস্ক্রিয়তাকে কাজে লাগিয়েছেন তারা। পারমাণবিক চুল্লিতে প্রাপ্ত ক্যালিফোর্নিয়াম মৌল এই কর্মকাণ্ডের নেপথ্যের উপাদান বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই বিশেষ মৌলের তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ক্যালিফোর্নিয়াম-২৫২ স্বতস্ফুর্তভাবে নিউট্রন নির্গমন করে থাকে। মডিলিউটরের মাধ্যমে নিউট্রনের মাত্রা পরিবর্তন করে যে কোনও বার্তা এনকোড করা সম্ভব হয়েছে এবং তারপর ডিটেক্টরের সহায়তায় সেই নিউট্রন প্রবাহ বিশ্লেষণ করে আবার তাকে ডিকোড করা হয়েছে কম্পিউটারের মাধ্যমে। শুধু শব্দ বা বর্ণ নয়, নিউট্রন প্রবাহের সহায়তায় সম্পূর্ণ বাক্যের তথ্যও পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। গবেষণায় জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত একশো শতাংশ ট্রান্সমিশন সফল হয়েছে! বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন তারা নিজেরাই প্রথমে বিস্মিত হয়েছিলেন এই সাফল্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × two =