গত বুধবার ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্পেস এক্সের ইনস্পিরেশন-৪ রকেটে চেপে চারজন মার্কিন নাগরিক উড়ে গেলেন মহাকাশের কক্ষপথে। এই প্রথম মহাকাশে অল-সিভিলিয়ান মিশন। চারজনের কেউই অভিজ্ঞ, পেশাদার মহাকাশচারী নন। চারজনের নেতৃত্বে রয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী বিলিয়নেয়ার জার্ড আইজ্যাকম্যান। তিনি ছিলেন একজন জেট প্লেনের প্রাক্তন চালক। কিন্তু পারিবারিক ব্যবসাতেই বরাবর তার মন এবং অল্পবয়স থেকে সেই ব্যবসায় যোগ দিয়ে তিনি আজ কোটিপতি! তার সঙ্গে রয়েছেন ৫১ বছরের শিয়ান প্রোক্টর। পেশায় একজন ভূ-বিজ্ঞানী। শৈশব থেকে তার স্বপ্ন মহাকাশে যাওয়ার। আরও একজন যাত্রী রয়েছেন হেলি আরসেনক্স। পেশায় সেন্ট জুড হাসপাতালে সহকারী ফিজিসিয়ান। নিজে ক্যানসারজয়ী একজন মানুষ। আর চতুর্থ মহাকাশযাত্রীর নাম ক্রিস সেমব্রস্কি। তিনি পেশায় ডাটা ইঞ্জিনিয়ার।
মহাকাশের কক্ষপথে পৌঁছতে রকেটের ১০ মিনিটের একটু বেশি সময় লেগেছে। রকেটের ওপরের অংশটি চারজনকে কক্ষপথে পৌঁছে দিয়ে আবার পৃথিবীতে নিরাপদে ফিরে এসেছে, আটলান্টিকসের ওপর ভাসমান একটি প্ল্যাটফর্মে অবতরণ করেছে। স্পেস এক্সের এই বেসামরিক রকেট, যার নাম ক্রিউ ড্রাগন, মহাকাশের কক্ষপথে তিনদিন ঘুরবে। এর লক্ষ্য পৃথিবী থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার উচ্চতায় মহাকাশের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করা। সেটি করতে পারলে, এই রকেট আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন এবং হাবল স্পেস টেলিস্কোপের চেয়েও বেশি উচ্চতায় পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে। তারপর সেটি আবার পৃথিবীতে ফিরে অবতরণ করবে আটলান্টিকসের ওপর। টাইম ম্যাগাজিনে এই চারজনের মহাকাশে যাওয়ার টিকিটের দাম প্রকাশিত হয়েছে। ভারতীয় মূদ্রায় ২০ কোটি টাকা!