টেক্সাস এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাসায়নিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুস্তাফা আক্বুলুট নতুন ধরনের কীটনাশক নিয়ে গবেষণা করছেন যা হবে একই সঙ্গে পরিবেশ-বান্ধব এবং কার্যকর। কীটনাশকরা কীভাবে উদ্ভিদের পাতার সঙ্গে সেঁটে থাকে তার উন্নতিসাধনই তাঁর গবেষণার লক্ষ্য। নানা ধরনের ন্যানো-কণা বাহক কীভাবে লঙ্কা গাছের পাতার ওপর সেঁটে থাকে তা নিয়ে চর্চা করে তাঁরা দেখেছেন, বাহকটির পৃষ্ঠতলের রাসায়নিক ধর্মর ওপর এটা অনেকখানি নির্ভর করে। তাঁরা জৈব কীটনাশক হিসেবে নিমগছের বীজ থেকে তৈরি আরকের কার্যকরতা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করেছেন। ডক্টর আক্বুলুট ও তাঁর পি-এইচ ডি ছাত্র যশনাথ আর্কট ইথাইল লরিল আর্জিনেট নামক একটি খাদ্য-সংরক্ষক উপাদানের সঙ্গে নিম গাছের বীজের আরকের একটি মিশ্রণ নিয়ে গবেষণা করে ভালো ফল পেয়েছেন। সারফেসেস অ্যান্ড ইন্টারফেসেস পত্রিকায় তাঁদের এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। দেখা গেছে বাহন আলাদা হলেও এর সক্রিয় উপাদানটি একই থাকে। হয় তা কীটের বংশবৃদ্ধি রোধ করে, না হয় তাকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। গবেষণাপত্রে তাঁরা দেখিয়েছেন, কৃষি-প্রযুক্তি, ন্যানো-প্রযুক্তি আর পদার্থ-রসায়নের (মেটিরিয়াল্স কেমিস্ট্রি) ওপর নির্ভর করে নানা ধরনের ন্যানো-কীটনাশককে দিয়ে ফসল-সুরক্ষার উন্নত কৌশলের প্রবর্তন ঘটানো যেতে পারে। ন্যানো-কীটনাশকদের পৃষ্ঠতলের রাসায়নিক ধর্মের অদলবদল ঘটিয়ে বিজ্ঞানীরা তাদের কার্যকরতা বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হবেন। যার ফলে আক্রমণের লক্ষ্য হবে কীটরাই, পরিবেশ নয়। সাধারণ কীটনাশকের ক্ষতিকারক ও পরিবেশ-বৈরি ক্রিয়ার বদলে বিষাক্ত ক্রিয়ামুক্ত নিম-বীজের আরক হয়তো ভবিষ্যতে কীটদের হাত থেকে ফসল বাঁচাতে সহায়ক হবে।