পচা আলুর ভেতর নতুন অ্যান্টিবায়োটিকের হদিশ

পচা আলুর ভেতর নতুন অ্যান্টিবায়োটিকের হদিশ

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১১ অক্টোবর, ২০২২

মানুষ অথবা গাছের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্রমেই এক গভীর চিন্তার বিষয় হয়ে উঠছে। রোগ নিরাময়ে অথবা কৃষিকাজে চালু অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার যতই বাড়ছে, ওষুধের কার্যকারিতাও কমছে। সুতরাং, নতুন অ্যান্টিবায়োটিকের আবিষ্কার প্রয়োজন।
ইয়োরোপের এক গবেষণায় খোঁজ মিলেছে এমনই এক নয়া অ্যান্টিবায়োটিকের, নাম সোলানিমাইসিন। আলুর রোগ সৃষ্টিকারী এক ব্যাকটেরিয়ার দেহ থেকেই পাওয়া গেল এটা। ডিকেয়া সোলানি নামের ঐ ব্যাকটেরিয়া কিন্তু অজানা নয় বিজ্ঞানীদের কাছে। উসাইডিন-এ নামের অন্য এক অ্যান্টিবায়োটিক এটার দেহ থেকে পাওয়া যায়, যা ছত্রাকনাশক হিসেবে অনেক গাছপালাতেই প্রয়োগ করা হয়। এমনটাই জানিয়েছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞানী ডঃ রিটা মনসন। গবেষণাপত্রের অন্যতম সূত্রধার ছিলেন উনি।
প্রথমে, সোলানি নামক ব্যাকটেরিয়ার জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছিল। সেখান থেকেই গবেষকরা লুকিয়ে থাকা অন্য কোনও অ্যান্টিবায়োটিকের অনুমান করেন। তারপর উসাইডিন-এ সৃষ্টিকারী জিনগুলোর কাজ বন্ধ করে দিতেই একটা আম্লিক পরিবেশে সোলানিমাইসিনের জন্যে দায়ী জিনগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। সোলানিমাইসিন কেবল অ্যান্টিবায়োটিক নয়, ছত্রাকপ্রতিরোধীও বটে।
ডঃ মনসন ও তাঁর সহকর্মীরা নয়া আবিষ্কৃত অ্যান্টিবায়োটিকের আণবিক গঠন নিয়ে উৎসুক। ওনারা কয়েকজন রসায়নবিদের সাথে যুক্ত হয়ে সোলানিমাইসিন নিয়ে আরও তথ্য জানতে চাইছেন যাতে ভবিষ্যতে মানুষের শরীরে এই ওষুধের প্রয়োগ সফল করা যায়।