পদার্থবিদ্যায় নতুন তত্ত্ব, সময়ের অস্তিত্ব নেই!

পদার্থবিদ্যায় নতুন তত্ত্ব, সময়ের অস্তিত্ব নেই!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১ মে, ২০২২

সময়ের অস্তিত্ব নেই! সময় ছাড়া মানবজীবন তো বটেই, বিজ্ঞানও অচল। কিন্তু পদার্থবিদ্যার নয়া তত্ত্ব সেরকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে। অবশ্য বিজ্ঞানীরা একইসঙ্গে জানাচ্ছেন, সময়ের অস্তিত্ব না থাকলেও তার প্রভাব মানবজীবনে পড়বে না।
গত এক শতাব্দী ধরেই মহাবিশ্বের ঘটনাপ্রবাহকে ব্যাখ্যা করতে মূলত দুটি তত্ত্বের সাহায্য নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা— আপেক্ষিকতাবাদ এবং কোয়ান্টাম বলবিদ্যা। প্রথমটি মহাকর্ষ এবং বস্তুর গতির ওপর ভিত্তি করে ধারণা দেয় সময়ের। দ্বিতীয় তত্ত্বটি ভৌত কণা এবং তাদের মিথস্ক্রিয়াকে বিশ্লেষণ করে। পদার্থবিদ্যার দুটি তত্ত্বেরই গুরুত্ব অপরিসীম। তবে এই দুই তত্ত্বের মধ্যে বিরোধও রয়েছে বিস্তর। এই সমস্যার সমাধান করতেই এক নতুন তত্ত্বের প্রস্তাব দিয়ে আসছেন বিজ্ঞানীরা।
না, আজকের কথা না। নব্বই দশকের শেষের দিক থেকেই এই নতুন তত্ত্ব প্রণয়নের প্রস্তাব তুলেছিলেন বিজ্ঞানীরা। যে তত্ত্ব পদার্থবিদ্যার জগতে পরিচিত ‘কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটি’ নামে। এই তত্ত্ব একাধারে যেমন মহাকর্ষ ও ব্রহ্মাণ্ডের বৃহত্তর ঘটনাগুলিকে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম, তেমনই ক্ষুদ্র মাইক্রোস্কোপিক স্কেলেও প্রযোজ্য। কিন্তু সময়ের অস্তিত্বকে কীভাবে নস্যাৎ করছে এই তত্ত্ব?
কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটি তত্ত্বের কেন্দ্রেই রয়েছে স্ট্রিং থিওরি। আমরা সাধারণত চতুর্মাত্রিক অবস্থার সঙ্গে পরিচিত। অর্থাৎ, তিনটি স্থানীয় স্থানাঙ্ক এবং একটি সময় স্থানাঙ্কের মাধ্যমেই চিহ্নিত করা হয় কোনো ঘটনাকে। তবে স্ট্রিং তত্ত্বানুযায়ী, ১১ মাত্রার স্ট্রিং-এর স্পন্দনই কোনো একটি ভৌত কণার প্রতিরূপ। অর্থাৎ স্থান, কাল কোনোটারই ব্যবহার না করে কোনো ঘটনা কিংবা কণার অস্তিত্বকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব ১১ মাত্রার স্ট্রিং-এর কম্পনের মাধ্যমে। যদিও স্ট্রিং থিওরি বা স্ট্রিং তত্ত্ব গাণিতিকভাবে প্রমাণিত হলেও, এখনও পর্যন্ত তার পরীক্ষিত ফলাফল পাননি গবেষকরা।