সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ওমিক্রন প্রকরণটা ঘুরে বেড়াচ্ছে একবছরের বেশি সময় ধরে। কিন্তু ওমিক্রনের দৌরাত্ম্য বাড়ার আগে পরপর ভোল (ভ্যারিয়েন্ট) বদল করছিল কোভিড। নামকরণের জন্যে মনে হচ্ছিল গোটা গ্রিক বর্ণমালাই বুঝি কাজে লেগে যাবে। আলফা, বিটা, গামা, ডেল্টা। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ওমিক্রনের ছেলেপুলে, নাতিনাতনিদের দাম দিতে দিতে বুঝি অক্ষর আর সংখ্যার লম্বা লাইন পড়ে যাবে।
ওমিক্রনের দাপট বহুদিন চলছে। মানুষের থেকে মানুষে ছড়ানোর ক্ষমতা, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আর ভ্যাকসিনের প্রভাব এড়িয়ে চলা – এইসব কারণেই এই ভ্যারিয়েন্টের বাড়াবাড়ি এতও বেশি। এই অবস্থায় ওমিক্রনের সাথে প্রতিযোগিতা করে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা অন্য কোনও ভাইরাসের পক্ষে বেশ কঠিন কাজ হবে।
সার্স-কোভ-২ কীভাবে বিবর্তিত হচ্ছে, তা নিয়ে সারা পৃথিবী জুড়েই নজর রেখেছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এই উদ্যোগটা ধীরে ধীরে অসম্ভব হয়ে উঠেছে কারণ পরীক্ষার হার অনেকটাই কমে গেছে বেশিরভাগ দেশে। এরপর কোভিডের যে ভ্যারিয়েন্টই আসুক না কেন, তা যদি জোরদার হয় তাহলে নাম দেওয়া হবে ‘পাই’, গ্রিক বর্ণমালায় ওমিক্রনের পরেই রয়েছে এই অক্ষর। কিন্তু ‘পাই’-কে আসতে হলে ওমিক্রনের চেয়ে অনেকখানি জিনগত পার্থক্য নিয়েই আসতে হবে। অর্থাৎ, হতে পারে সেটা আরও সংক্রামক হল কিংবা আরও মারণ রোগের সৃষ্টি করল।
অনেক ভাইরাস-গবেষক বলছেন, ‘পাই’ নামের প্রকরণটা কোনও প্রাণীর দেহ থেকেই আসবে। কারণ পোষকের দেহ যদি পাল্টে যায় তাহলে জিনের মিউটেশনও আলাদা হবে।