পিরানহার নতুন দোসর মিলল

পিরানহার নতুন দোসর মিলল

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৩ জুন, ২০২৪

ব্রাজিলের এক বিখ্যাত মাছ পিরনহা, যা মূলত মিষ্টি জলে, নদীতে পাওয়া যায়। এই মাছ নিয়ে নানা কাহিনি শোনা যায়, এরা খুব আক্রমণাত্মক, এরা মানুষের মাংস খুবলে খেয়ে নেয়। বস্তুত এই মাছ যেমন অন্য মাছ খেয়ে থাকে তেমন গাছপালাও খায় অর্থাৎ সর্বভূক। কম সংখ্যক হলেও কিছু মানুষ বিশেষত বাচ্চারা এদের দলের শিকার হয়েছে। তবে নদীতে মৃতদেহ পড়ে থাকলে এরা তা খেয়ে সাফ করে দিতে পারে। সম্প্রতি ব্রিটেনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম জানিয়েছে, ব্রাজিলের অ্যামাজন নদীতে বিজ্ঞানীরা এক পিরানহা-সদৃশ মাছের প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন। ইংরেজ লেখক জে আর আর টোলকিনের বিখ্যাত ফ্যান্টাসি উপন্যাস লর্ড অফ দ্য রিংস-এর ভিলেনের নামানুসারে এই মাছের নাম সৌরন রাখা হয়েছে। তবে ভিলেন বলা হলেও এই প্রজাতি নিরীহ, এরা নিরামিষাশী। বিজ্ঞানীরা এই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম দিয়েছেন Myloplus sauron। এর গোলাকার শরীর এবং আলাদা আলাদা কমলা ও কালো রঙ, এই নামকরণের পেছনে কারণ। আমাজন নদীর মাছের জীববৈচিত্র্যকে আরও ভালভাবে বোঝার জন্য বিজ্ঞানীরা সেখানকার মাছ নিয়ে এই গবেষণা করছেন। সম্প্রতি নামকরণ করা দুটি প্রজাতির মধ্যে এই নতুন প্রজাতি উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্য খায়, আর তাদের মানুষের মতো দাঁতের সারি রয়েছে। পিরানহার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত এই মাছ “প্যাকু” নামেই বেশি পরিচিত, এই নামটি সাধারণত পিরানহার নিরামিষাশী আত্মীয়দের জন্য ব্যবহৃত হয়।
নিওট্রপিক্যাল ইকথিওলজি জার্নালে প্রকাশিত এই সমীক্ষায় অ্যামাজনিয়ান পিরানহা এবং তাদের আত্মীয়দের উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই মাছেরা সারা জীবন জুড়ে চেহারা পরিবর্তন করে বলে তাদের আলাদা করা বেশ কঠিন। Myloplus sauron শুধুমাত্র আমাজনের ব্রাজিলীয় উপনদী, যিঙ্গু নদীর অববাহিকায় পাওয়া যায়, যেখানে ৬০০টিরও বেশি মাছের প্রজাতি রয়েছে। এদের মধ্যে ৭০টির মতো প্রজাতি বিশ্বের আর কোথাও পাওয়া যায় না। গবেষকদের মতে আমাজন নদীতে পাওয়া মাছের ৪২ শতাংশ এখনও বিজ্ঞানের কাছে অজানা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − one =