পুনর্ব্যাবহৃত উপাদানেই প্রস্তুত নতুনের মতো লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি

পুনর্ব্যাবহৃত উপাদানেই প্রস্তুত নতুনের মতো লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৬ নভেম্বর, ২০২১

২০১৯ সালে লিথিয়াম- আয়ন ব্যাটারি সম্প্রসারণের জন্য রয়াসনে নোবেল পান দুই মার্কিন নাগরিক জন গুডএনাফ, স্ট্যানলি উটিংহাম ও জাপান দেশের আকিরা ইওসিনহো। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির আবিষ্কার পৃথিবীকে উপহার দিয়েছিল এনার্জি স্টোরেজ স্টিস্টেম। ২০১৯ এ নোবেল কমিটি বলেন- এই ব্যাটারি আমাদেরকে জ্বালানি মুক্ত পৃথিবী উপহার দিল। নোবেল পাওয়ার ঠিক দুবছর পরে ২০২১ এর অক্টোবরের ১৫ তারিখে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি সম্প্রসারণের আরোও একটি আবিষ্কার সামনে এলো(জোল পত্রিকায় প্রকাশিত)- ব্যবহৃত উপাদানের সাহায্যে নতুনের মতোই ব্যাটারি তৈরি করা সম্ভব। এবং এই ব্যাটারি প্রায় হাজারের বেশি বার নতুন ব্যাটারির ক্যাপাসিটির মতো রিচার্জেবল।
এমনিতে স্মার্টফোন থেকে বৈদ্যুতিন গাড়ি পর্যন্ত – প্রতিদিন লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির চাহিদা পিছনে ফেলে দিচ্ছে কোবল্টের মতো অতি প্রয়োজনীয় উপাদানের চাহিদাও। ফলে উপাদানের পুনর্ব্যাবহার সম্ভাব্য ঘাটতি মেটাতে সক্ষম হবে। সমস্যা ছিল পুনর্ব্যাবহৃত উপাদানের অশুদ্ধতার কারণে পুনর্ব্যবহৃত উপাদান দিয়ে ব্যাটারি তৈরি করলে তা নতুনের মতো কার্যক্ষম হতো না।
কিন্তু ম্যাসাচুসেটস এর ওরকাস্টার পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের মেটেরিয়াল সায়েন্টিস্ট ইয়াং ওয়াং এবং তার সহযোগীরা এমন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন যাতে পুনর্ব্যবহৃত উপাদান এমনকি নতুন উপাদানের চেয়েও অধিক কার্যক্ষম হবে।
ওয়াং এবং সহকর্মীরা পুরাতন ব্যটারির বিদ্যুৎবাহী উপাদানটি বের করে গোটা ব্যাটারিটির বিভিন্ন পদার্থ অ্যাসিড প্রয়োগে নষ্ট করেন। এবং অশুদ্ধ উপাদান লোহা বা তামা বাদ দেন এবং তিনটে মূল উপাদান -নিকেল, ম্যাঙ্গানিজ, কোবল্ট- এর ৯০% পুনরুদ্ধার করেন। এর ফলেই পুনর্ব্যাবহার যোগ্য উপাদানেই কার্যক্ষম ব্যাটারি বানানো সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 3 =