বয়স হতে হবে ৩০ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে। হতে হবে মার্কিন নাগরিক বা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা। অবশ্যই সুস্থ ও ফিট থাকতে হবে। ধূমপায়ী হলে বাদ পড়বেন সঙ্গে সঙ্গে। এছাড়া ক্রু ও মিশন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে কার্যকরী যোগাযোগের জন্য ইংরেজি বলায় পারদর্শী হতে হবে। এক বছরের জন্য পৃথিবী ছেড়ে পালানোর ব্যবস্থা করছে মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থা। আর সেই ব্যবস্থাপনায় থাকার দুরন্ত ও অভিনব সুযোগের জন্য আবেদন করার নোটিশ দিয়েছে নাসা। ওই আবেদনের জন্য প্রার্থীর মধ্যে কী কী থাকা আবশ্যিক, তা উপরেই উল্লেখ করা হয়েছে।
ভাবছেন করোনায় জর্জরিত, বিধ্বস্থ এই পৃথিবী কবে সুস্থ হবে? শান্তি, মানসিক চাপহীন অবস্থায় জীবনের স্বাদ নিতে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার মনোস্কামনা থাকলে পাড়ি দিতে পারেন মঙ্গল গ্রহে। ভাবছেন লাল গ্রহে জমি কেনার পাশাপাশি এবার থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে! ভুল। পৃথিবীর বুকেই মঙ্গলের বিকল্প ঠিকানা হিসেবে হিউস্টন জনসন স্পেস সেন্টারে ১ হাজার ৭০০ বর্গফুট এলাকাজুড়ে লালগ্রহের মতো আস্তানা বানানো হয়েছে। আর এই অভিনব প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে মার্স ডিউন আলফা। এই মিশনের সঙ্গে নিজেকে জড়াতে হলে দরখাস্ত বা আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। গত ৬ অগস্ট থেকে অনলাইনে সেই দরখাস্ত জমা নিতে শুরু করেছে নাসা। তবে এখানে বলে রাখা ভাল, বেশি প্রত্যাশা করবেন না। এই প্রকল্পের সঙ্গে মাত্র ৪জন দক্ষ ও সৌভাগ্যবানই থাকতে পারবেন। এর বেশি এই জায়গায় প্রবেশ করানোর দক্ষতা নেই।
পৃথিবীর বুকে নাসার বানানো মঙ্গলের মতো বিকল্প ঠিকানায় একবছর বা দুবছর থাকতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে। এ ব্যাপারে নাসার মতামত, ইতিমধ্যে লাল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা বিস্তর গবেষণা চলছে। প্রাণের দিশা দেখানোর জন্য লাল গ্রহে পাঠানো হয়েছে রোভার পারসিভের্যান্সকেরোভার পারসিভের্যান্স, সেখানে জলের খোঁজ বা প্রাণের খোঁজের পাশাপাশি মানুষের বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নাসা জানিয়েছে, কয়েক বছর পর মঙ্গলে মানবসভ্যতার দ্বিতীয় গ্রহ তৈরি হবে কি না, তা শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর তার আগেই হিউস্টনে ট্রায়াল রান চালানো হচ্ছে।
আবেদনকারীদের মধ্যে যে ৪ জনকে বাছাই করা হবে. তাঁদের প্রথমে লাল গ্রহের থাকার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেখানে কীভাবে চলাচল করা যায়, চাষবাস করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা কীভাবে চালাতে হয়, তার সব কিছুই প্রশিক্ষণ সময়কালে দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হবে।