প্রমাণ শহরের মাপের হিমশৈল ভেঙে পড়ল অ্যান্টার্কটিকায়

প্রমাণ শহরের মাপের হিমশৈল ভেঙে পড়ল অ্যান্টার্কটিকায়

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

আড়ে বহরে হোবার্ট কিংবা লন্ডনের মতো হবে। তুলনায় কলকাতার উদাহরণও দেওয়া যেত। কিন্তু দুর্ঘটনাটা ঘটেছে ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক টেরিটরিতে। অর্থাৎ অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের যে অংশটা ইংল্যান্ডের অধীনে রয়েছে। সেখানেই গোটা একটা শহরের মাপের হিমশৈল অবশেষে ভেঙে পড়ল।
গত রবিবারের ঘটনা। ১৫০ মিটার পুরু বরফের পাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ১৫৫০ বর্গ কিলোমিটারের একটা গোটা বরফের চাঙড়। ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরাই সর্বপ্রথম ঐ ফাটলের সন্ধান পেয়েছিলেন ২০১২ সালে। তার আগে অবশ্যও ঐ হিমশৈলে ৩৫ বছর টানা কোনও পরিবর্তন ঘটেনি।
ফাটলের নাম রাখা হয়েছিল চ্যাশম-১। বেশ ভয়ানক নাম নিঃসন্দেহে। ঐ ফাটলের খুব কাছেই ২০১২ সাল নাগাদ ছিল ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে বা সংক্ষেপে ‘বাস’-এর গবেষণাকেন্দ্র হ্যালে রিসার্চ স্টেশন। ২০১৬ সালে ফাটলের অবস্থা আরও ভয়াবহ হলে ২৩ কিলোমিটার দূরে স্থানান্তরিত করতে হয় ঐ গবেষণাকেন্দ্রটা।
ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের হিমবাহ-বিশেষজ্ঞরা গত দশকটা জুড়ে প্রায় প্রত্যেকদিন মাপজোক করেছেন ঐ অঞ্চলে। কীভাবে ফাটল তৈরি হল, কীভাবেই বা দিনের পর দিন সেটা বাড়তে বাড়তে বরফের চাঙড়ের ভারসাম্য টলিয়ে দিল সেটা বোঝার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন গবেষকরা। প্রত্যেক ঘণ্টায় তদারকির জন্যে ১৬টা জিপিএস যন্ত্র কাজ করেছে একইসাথে। এছাড়া কৃত্রিম উপগ্রহ মারফৎ পাঠান ছবি, রাডার, ড্রোনের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তিরও ব্যবহার করা হত। কিন্তু শেষমেশ ভেঙেই পড়ল ‘ব্রান্ট আইস সেলফ’।