প্রযুক্তিতে বয়স কমানো যাবে!

প্রযুক্তিতে বয়স কমানো যাবে!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৮ এপ্রিল, ২০২২

১৯৯৬-এ বিশ্বে প্রথমবার ক্লোনিং-এর মাধ্যমে কৃত্রিম প্রজনন ঘটানো হয়েছিল কোনো স্তন্যপায়ী প্রাণীর। সে ছিল ‘ডলি দ্য ল্যাম্ব’। এবার সেই একই প্রযুক্তিতে বয়স বৃদ্ধি আটকানো এবং মানব কোশকে পুনরুজ্জীবিত করার উপায় আবিষ্কার করলেন গবেষকরা। এমনকি তার সফল পরীক্ষামূলক ব্যবহারিক প্রয়োগে কমিয়ে আনলেন দেহকোশের বয়সও। দেহকোশকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলার পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছিল নব্বই দশক থেকেই। ভেড়ার স্তনগ্রন্থি থেকে দেহকোশ সংগ্রহ করে তাকে ভ্রূণ কোশে পরিণত করাই ছিল গবেষকদের লক্ষ। পরবর্তীকালে এই ভ্রূণ থেকেই জন্ম নেয় ডলি। ডলির প্রজননের এই প্রযুক্তি সফল হওয়ার পর থেকেই মানব ভ্রূণের কোশ তৈরির প্রচেষ্টা শুরু করেন গবেষকরা। ২০০৬ সালে এই প্রযুক্তিতে বেশ কিছু বদল আনেন কিয়োটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক তথা অধ্যাপক ডঃ শিনিয়া ইয়ামানাকা। যা গোটা প্রক্রিয়াকে করে তুলেছিল আরও সহজতর।
আইপিএস-খ্যাত এই পদ্ধতিতে, প্রাপ্তবয়স্ক দেহকোশকে প্রায় পঞ্চাশ দিন ডুবিয়ে রাখা হয় রাসায়নিক দ্রবণে। যা মূলত দেহকোশের জিনগত পরিবর্তন করে তাকে ভ্রূণকোশে বা স্টেম সেলে পরিণত করে। যেখান থেকে নতুন করে জন্ম নিতে পারে সম্পূর্ণ কলা। কেমব্রিজের বাব্রাহাম ইনস্টিটিউটের গবেষকরা এই একই পদ্ধতি প্রয়োগ করেছিলেন ৫৩ বছর বয়সি এক মহিলার ত্বক থেকে সংগৃহীত কোশের ওপর। তবে ৫০ দিনের পরিবর্তে তা রাসায়নিক দ্রবণে ডুবিয়ে রাখা হয়েছিল মাত্র ১২ দিন। আর তার ফলাফলেই রীতিমতো চমকে যান গবেষকরা। কোশগুলির চরিত্র এবং স্বাস্থ্য বিশ্লেষণ করার পর দেখা যায়, সেগুলি প্রায় ২৩ বছর বয়সি মহিলার দেহকোশের সমতুল্য হয়ে উঠেছে। অর্থাৎ, স্বাভাবিকভাবেই বয়স কমেছে কোশগুলির। সম্প্রতি এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ইলাইফ বিজ্ঞান জার্নালে