এক দশক আগে থেকেই জাপানের ফুকুশিমায় অবস্থিত পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটা বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। এবার সেখান থেকেই এক মিলিয়ন টনের বেশি পরিশোধিত জল সমুদ্রে ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে জাপান সরকার। এই মহাযজ্ঞ শুরু হবে এই বছরেই। গত শুক্রবার জাপানের এক সরকারি মুখপাত্র এমনটাই জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে।
ইন্টারন্যাশানাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি অনুমোদন দিয়েছে এই পরিকল্পনার সপক্ষে। কিন্তু জাতিসংঘের তরফ থেকে নজরদারি রিপোর্টের অপেক্ষা করছে জাপান সরকার। তারপরেই আরম্ভ হবে কাজ, জানালেন হিরোকাজু মাতসুনো।
২০১১ সালে সমুদ্রের নিচে ব্যাপক ভূমিকম্পের ফলে জাপানেও সুনামি সৃষ্টি হয়েছিল। তাতেই ফুকুশিমার এই পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শীতলীকরণ ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়ে। চের্নোবিলের পর এটাই ছিল সবচেয়ে বড়ো মাপের তেজস্ক্রিয় দুর্ঘটনা। ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করার কাজ চলছে কিন্তু অন্তত চার দশক সময় লাগবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
গত বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে প্রতিদিন ১০০ ঘনমিটার দূষিত জল মিশেছে সমুদ্রে। ভূগর্ভস্থ জল, সমদ্রের জল আর বৃষ্টির জল ঐ কেন্দ্রের মধ্যে যা জমা হয়েছে বা হয়েছিল তা’ই সমুদ্রের জলে মিশে বিপুল তেজস্ক্রিয় দূষণ তৈরি হয়েছে। এই জল এবার থেকে শোধন করে রেডিওনিউক্লাইড বাদ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই ১.৩ মিলিয়ন কিউবিক মিটার জল পরিশোধিত হয়েছে আর জমা হয়ে আছে।
মাতসুনো জানিয়েছেন, চলতি বছরের বসন্ত বা গ্রীষ্মকালেই শুরু হবে জল ছাড়ার কাজটা।