বহুরূপী কার্বনের নতুন এক রূপ

বহুরূপী কার্বনের নতুন এক রূপ

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ৯ জানুয়ারী, ২০২৩

নব নব রূপে কেউ আসুক না আসুক, কার্বন অবশ্যই আসে। বিজ্ঞানী মহলকে চুম্বকের মতো টানে এই বহুরূপী মৌল। পৃথিবীতে উপস্থিত সমস্ত জৈব পদার্থের একেবারে প্রাথমিক উপাদান বলা যায় কার্বনকে। এছাড়াও অভিনব পদার্থ হিসেবেও কার্বনের অনেকগুলো রূপ আবিষ্কৃত হয়েছে। এবার আরেক নতুন অবয়বে গবেষকদের চমকে দিল সে।
১৯৯৬ সালে, রসায়নে নোবেল প্রাইজ দেওয়া হয়েছিল ফুলেরিন আবিষ্কারের জন্য। অনেক কার্বন পরমাণুকে নিয়ে গঠিত একটা প্রতিসম আকার। দেখতে অনেকটা ফুটবলের মতো। একসাথে ৬০খানা কার্বন পরমাণুর সন্নিবেশ। ফের ২০১০ সালে, পদার্থবিদ্যায় নোবেল আসে গ্রাফিন আবিষ্কারের জন্যে। এটা অতিকঠিন, পরমাণুর মতো পাতলা স্তরবিশিষ্ট কার্বনের রূপভেদ।
এবার নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত হল কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নবিদ জেভিয়ার রয়, কলিন নাকলস, মিচেল স্টিজারওয়াল্ড এবং এলেনা মিরজাদের এক যুগান্তকারী গবেষণাপত্র। শ্রীমতী এলেনা মিরজাদে ছিলেন মুখ্য গবেষক। ঐ চার রসায়নবিদ ফুলেরিন আর গ্রাফিনের মাঝামাঝি অবস্থিত কার্বনের নতুন এক রূপভেদ আবিষ্কার করলেন। নাম দেওয়া হয়েছে – ‘গ্রাফুলেরিন’। এটা দ্বিমাত্রিক। একসাথে জুড়ে থাকা একাধিক ফুলেরিনের কয়েকটা স্তর মিলে তৈরি হয় গ্রাফুলেরিন। ঠিক যেমনটা হয় গ্রাফাইটের স্ফটিক থেকে গ্রাফিন চেঁচে তুললে।
নাকলস বলছেন, এটা চমৎকার অনুসন্ধান। বোঝাই যাচ্ছে, কার্বনের অতি-পারমানবিক গঠন থেকে এই একই উপায়ে আরও অনেক রূপভেদ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এদের ভৌত ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য কিন্তু আলাদা হতেই পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − 6 =