বাঁদররা নিজেদের নাম ধরে ডাকে, জানাচ্ছে গবেষণায়

বাঁদররা নিজেদের নাম ধরে ডাকে, জানাচ্ছে গবেষণায়

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

নামের আমি নামের তুমি, নাম দিয়ে যায় চেনা। কথাগুলো শুধু মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। জীবজগতে বেশ কিছু প্রাণীদের মধ্যেও গবেষকরা এই বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেয়েছেন। মার্মোসেট, এক বিশেষ প্রজাতির বাঁদর, নাম ধরে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। নাম ধরে ডাকলে তারা বুঝতেও পারছে। পূর্বে গবেষণা থেকে জানা গিয়েছিল যে মানুষ ছাড়া ডলফিন নিজেদের আলাদা নামে চেনে। কিছু হাতিরাও নিজেদের আলাদা আলাদা নাম দেয়। সেই নামে তাদের মধ্যে পরিচিত হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক এই গবেষণা জানিয়েছে এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও একটি প্রজাতির বাঁদরের নাম।
বাঁদরেরা একে অপরকে ডাকার জন্য নির্দিষ্ট ডাক ব্যবহার করে, যা “ফি-কল” নামে পরিচিত। সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় গবেষকরা জানান, গাছে বসবাসকারী এই প্রাণীরা স্বভাবে বেশ সামাজিক প্রকৃতির এবং দক্ষিণ আমেরিকায় এরা ছোটো দলে বাস করে। এদের দেখতে খুব সুন্দর। তবে তারা যে এমন নিজেদের মধ্যে কথা বলতেও সিদ্ধহস্ত তা জানা ছিলনা। গবেষকরা মার্মোসেট বাঁদরদের মধ্যে স্বাভাবিক কথোপকথন রেকর্ড করেছেন। মানুষ যেমন কাউকে ডাকার হলে তার নাম ধরে ডাকে, তেমনই মার্মোসেট বাঁদররা আলাদা করে কাউকে ডাকার সময় একটি বিশেষ আওয়াজ বার করে। এই ডাককে বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন “ফি কল”। সেই আওয়াজ শুনেই অন্য বাঁদর বুঝতে পারে যে তাকে ডাকা হচ্ছে, অন্য কাউকে নয়। এরা বুঝতে পারে কখন তাদের ডাকা হচ্ছে এবং সেক্ষেত্রে তারা সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়াও জানায়। গবেষকদের আগে ধারণা ছিল এই ডাক বাঁদররা তাদের স্থান বোঝাতে ব্যবহার করে, অন্যদেরকে তাদের অবস্থান জানায়। কিন্তু নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে নির্দিষ্ট বাঁদরকে সম্বোধন করার জন্য নির্দিষ্ট ডাক তারা ব্যবহার করে। গবেষকদের মতে নাম বা অনুরূপ কিছু ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে এমন প্রজাতি সম্বন্ধে যত বেশি জানা যাবে আমাদের নিজেদের প্রজাতিতে নামের বিবর্তনের ইতিহাস তত তাড়াতাড়ি স্পষ্ট হয়ে উঠবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − nine =