কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙালি। দিশি প্রজাতির হরেক মাছ বাঙালির রসনায় তৃপ্তি জোগায়। কিন্তু প্রজনন ও বিচরণক্ষেত্র নষ্ট হওয়ায় দেশীয় নানা প্রজাতির মাছ আজ বিলুপ্তির পথে। আর তাই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইন্সটিটিউট তৈরি করেছে মাছের লাইভ জিন ব্যাঙ্ক। বিলুপ্তপ্রায় ৮৩ প্রজাতির দেশি মাছের প্রজাতির জিন সংরক্ষণ ও পোনা উৎপাদন করেছে এই ইন্সটিটিউট। ব্যাপক হারে চাষিদের হাতে পোনা বিতরণ করে উৎপাদন বাড়াতে চাইছেন গবেষকরা। এই মাছগুলির মধ্যে আছে– মউলা, ঠেলা, পুঁটি, বাইন, ট্যাঙরা, খলসে, কাঁচকি, চাঁদা, বেলে ইত্যাদি। টর্টর নামের মাছের উৎপাদন ও ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যে গবেষণা চালাচ্ছে ইন্সটিটিউট। একসময় এই মাছ রাজকীয় মাছ হিসেবে পরিচিত ছিল।এর পুষ্টিগুণও প্রচুর। গবেষকরা মনে করেন, কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে এর পোনা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে গেলে চাষের আওতায় আসবে মাছটি।
ইন্সটিটিউটের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার সেলিনা ইয়াসমিন বলেন, বাংলাদেশে ৬৪ প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত।এর মধ্যে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে ৩১ প্রজাতির মাছ ফিরিয়ে আনা গেছে। ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে মোট ১৪৩ টি প্রজাতির ছোট মাছ আছে। সবগুলিকেই ইন্সটিটিউট সংরক্ষণ করতে চায়। এর মধ্যে গত এক বছরে ৮৫ প্রজাতির মাছের জিন সংরক্ষিত হয়েছে। ফলে হারিয়ে যাওয়ার ভয় নেই এসব প্রজাতির।