বাড়িতে বসে ফ্লু-এর প্রতিষেধক

বাড়িতে বসে ফ্লু-এর প্রতিষেধক

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ফ্লু-এর প্রতিষেধক

আর ইঞ্জেকশন নয়, ভবিষ্যতের প্রতিষেধক হিসাবে নেজ়াল স্প্রে ওপর ভরসা রাখছেন চিকিৎসকেরা। ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) মতে, বার্ষিক ফ্লু টীকার নেজাল স্প্রে সংস্করণ এখন বাড়িতেই নেওয়া যেতে পারে। সেপ্টেম্বর মাসের প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে, এফডিএ ঘোষণা করেছে ফ্লুমিস্ট নামের একটি নেজাল স্প্রে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন হিসেবে বাড়িতেই নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৮ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ব্যক্তিরা প্রতিষেধকটি নিজেই নিতে পারবেন। ২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশু এবং কিশোর-কিশোরীকেও এই টীকা বাড়িতে অন্যান্যরা দিয়ে দিতে পারবেন। আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ব্যক্তিরা এই নেজাল স্প্রে টীকা নিতে পারতেন কিন্তু সেক্ষেত্রে তাদের ওষুধের দোকান বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হত। ক্লিনিকাল ট্রায়ালের তথ্য থেকে দেখা যায় যে বাড়িতে এই টীকা নেওয়া নিরাপদ এবং কার্যকর। ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণকে সংক্ষেপে ‘ফ্লু’ বলে। অন্যান্য ভাইরাল সংক্রমণের মতোই ‘ফ্লু’-র উপসর্গ খুব সাধারণ – জ্বর, সর্দি, কাশি যা ঋতু পরিবর্তনের ফলে হয় এবং প্রকৃতির নিয়মে কমেও যায়। ফ্লু-র নানা প্রকারভেদ আছে। যেমন ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা এ’, ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা বি’ বা ‘সোয়াইন ফ্লু’। এর মধ্যে ‘সোয়াইন ফ্লু’-র ধরন বেশ জটিল। এই রোগের উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রাথমিক পর্যায়ে ‘ফ্লু’-র উপসর্গ উপেক্ষা করা উচিত নয়। এতে সমস্যা বাড়তে পারে। দশ বছর আগেও এর প্রতিরোধে কোনও টীকা ছিল না। কিন্তু এখন এই রোগের টীকা বাজারে সহজলভ্য হয়েছে।
ফ্লুমিস্ট একটি নেজাল স্প্রে-ভিত্তিক টীকা যা ইনফ্লুয়েঞ্জা এ এবং বি এই দুধরনের ফ্লু প্রতিরোধে সহায়তা করে৷ ফ্লুমিস্ট টীকাতে ইনফ্লুয়েঞ্জা এ এবং বি ভাইরাসের এমন সংস্করণ রয়েছে যা আমাদের শরীরে সংক্রমণ ঘটায় না বরং ভবিষ্যতের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে ইমিউন সিস্টেমকে সহায়তা করে। এই টীকা ২০২৪-২৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের জন্য অনুমোদিত প্রতিষেধক যা তিনটি ফ্লু-এর উপপ্রকার থেকে রক্ষা করবে: দুটি ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাস এবং একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ভাইরাস। তবে গর্ভবতী মায়েরা এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তারা এই প্রতিষেধক নিতে পারবেন না। গবেষকরা আশাবাদী ভবিষ্যতে অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও নেজাল স্প্রে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা হবে।