বাতাসের কার্বন ডাইঅক্সাইড থেকে ভিনিগার

বাতাসের কার্বন ডাইঅক্সাইড থেকে ভিনিগার

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১ জুন, ২০২৩

একটা নতুন অনুঘটকের জাদু। তাতেই বাতাসের কার্বন ডাইঅক্সাইড পরিবর্তিত হবে অ্যাসিটিক অ্যাসিডে। রাসায়নিক শিল্পক্ষেত্রে এই পদার্থের গুরুত্ব আছে। আর রান্নাঘরে এই অ্যাসিড ভিনিগার নামেই বেশি পরিচিত।
নেচার কমিউনিকেশন পত্রিকায় এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণার সাথে যুক্ত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা আর জাপানের বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, এই পদ্ধতিতে আরও বড়ো মাত্রায় কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমানো যাবে। সাথে দরকারি রাসায়নিক উপাদানাও তৈরি হবে।
সারা বিশ্বে প্রতি বছর মোট ৬.৫ মিলিয়ন টন অ্যাসিটিক অ্যাসিড লাগে। ওষুধশিল্পে, ভিনাইল তৈরিতে, বস্ত্র আর প্রসাধনী শিল্পে এই যৌগের ব্যবহার হয়।
খাদ্যশিল্পে এই অ্যাসিটিক অ্যাসিড একটু আলাদাভাবে কাজে লাগে। ফার্মেন্টেশন পদ্ধতির সাহায্য সেক্ষেত্রে নেওয়া হয়। সরাসরি অ্যাসিটিক অ্যাসিড ব্যবহার না করে লঘুমাত্রার ভিনিগার কাজে লাগানো হয়। কিন্তু ভারিশিল্পের ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করার ফলে এই অ্যাসিটিক অ্যাসিড উৎপাদনের জন্যেই গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয় প্রচুর পরিমাণে। সাথে কোবাল্ট, ইরিডিয়াম, রোডিয়ামের মতো মূল্যবান ধাতুর ব্যবহার আছে।
কিন্তু গবেষকরা সম্পূর্ণ ভিন্ন এক রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় এবার অ্যাসিটিক অ্যাসিড তৈরি করলেন। কার্বন ডাইঅক্সাইড, হাইড্রোজেন আর অনুঘটক হিসেবে লোহার ব্যবহার করেই তৈরি হবে এই অ্যাসিড। একটা বাড়তি সুবিধেও আছে। অনুঘটক হিসেবে লোহা থাকলেও, গোটা রাসায়নিক বিক্রিয়া জুড়ে সেটা কঠিনই থাকে। ফলে উৎপাদনের পর বিশুদ্ধিকরণের জন্য বাড়তি শক্তির প্রয়োজন পড়ে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − four =