বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের মাঝেই শুকিয়ে যাচ্ছে ট্যাম্পা বে

বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের মাঝেই শুকিয়ে যাচ্ছে ট্যাম্পা বে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

গত বুধবার বিকেলে ফ্লোরিডা উপকূলে আছড়ে পড়েছে হ্যারিকেন ইয়ান। গত কয়েকদিন ধরেই প্রবল বর্ষণ চলছে অ্যামেরিকার দক্ষিণ পূর্ব দিকের এই প্রদেশে। কিন্তু গবেষকদের হতবাক করে দিল পশ্চিম উপকূলের একটা অগভীর মোহনা অঞ্চল, নাম ট্যাম্পা বে। জল শুকিয়ে কাদার স্তূপ হয়ে আছে স্বাভাবিক ঐ বন্দর এলাকা।
ট্যাম্পা বে-র জলস্তর এতটাই নীচে নেমে গেছে যে স্থানীয় বাসিন্দারা দিব্বি হেঁটে পার হচ্ছেন। ফ্লোরিডার পশ্চিমে আরও কয়েকটা উপকূলীয় অঞ্চলের হালও তথৈবচ। গবেষকদের হিসেব বলছে, ৬ ফুট কমেছে ট্যাম্পা বে-র জলস্তর। কিন্তু হুজুগে পড়ে ঐ এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কিন্তু অভাবনীয় এই ঘটনার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ঠিক কেমন? বিজ্ঞানীরা জানালেন, ব্যাপারটাকে রিভার্স স্টর্ম সার্জ বলে। ঘূর্ণাবর্তের অক্ষ থেকে একটা নির্দিষ্ট অঞ্চল কতটা দূরে তার সাপেক্ষে উল্লেখযোগ্য ভাবে পাল্টে যায় বায়ুর চাপ। সমুদ্র যেমন ফুলেফেঁপে উঠতে পারে হাওয়ার লীলায়, তেমনই কোনও এলাকার জলস্তরকে টেনে সরিয়ে দিতেও পারে ঘূর্ণিঝড়। এভাবেই খাঁড়ি বা মোহনা অঞ্চল শুকিয়ে যায়।
হ্যারিকেন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইয়ানের জন্ম উত্তর গোলার্ধে বলে ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ঘুরতে থাকে বায়ুস্তম্ভ। আবার ফ্লোরিডাতে যেহেতু ঐ ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ দিক থেকে প্রবেশ করেছিল, তাই উপকূল অঞ্চলের জল দূরে ঠেলে দিতে পেরেছে দানবীয় বায়ুচাপ। এর আগে ২০১৭ সালে হ্যারিকেন ইর্মার সময়েও এটা দেখা গিয়েছিল, কিন্তু এতটা নাটকীয় তা ছিল না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × one =