বিপন্ন দক্ষিনি তিমিদের সংখ্যা বাড়ছে, খুব ধীরে হলেও

বিপন্ন দক্ষিনি তিমিদের সংখ্যা বাড়ছে, খুব ধীরে হলেও

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ সমুদ্রে তিমিদের সংখ্যা বাড়ছে। জন্মহার কমতে থাকা সত্ত্বেও তিমিদের সংখ্যাবৃদ্ধি অবশ্যই আশার আলো।

ইউবালেনা অস্ট্রালিস তাদের ল্যাটিন নাম। প্রধানত গ্রেট অস্ট্রেলিয়ান বাইট, অর্থাৎ দেশের দক্ষিণ উপসাগরের বড়ো বাঁকটায় এই তিমিদের বসবাস। জড়ো করা তথ্য থেকে দেখা গেছে প্রতি চার পাঁচ বছর ছাড়া ছাড়া ইউবালেনা প্রজাতির তিমিদের সংখ্যা কমতে থাকে।

কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে কাজ করছেন ডক্টর ক্লেয়ার চার্ল্টন। ওনার নেতৃত্বে তিমিদের নিয়ে এক নতুন গবেষণা শুরু হয়েছিলো। প্রফেসর চার্ল্টন বলছেন আগের তথ্যের সাথে ভবিষ্যতের গবেষণা মিলিয়ে দেখা হবে। তাতে তিমিদের বংশগতির হালচাল আরও স্পষ্টভাবে বোঝা সম্ভব।

পার্থ শহরের দক্ষিণে জিওগ্রাফ উপসাগর থেকে শুরু করে ভিক্টোরিয়া প্রদেশের ওয়ারনাম্বুল উপসাগর অবধি দীর্ঘ অঞ্চল জুড়েই এই দক্ষিনি তিমিদের সংখ্যা বেড়েছে শেষ ক’বছরে। ১৯২০ সাল নাগাদ বিজ্ঞানীরা মনে করতেন দক্ষিণ গোলার্ধে বড়জোর ৩০০টা ইউবালেনা তিমি বেঁচে আছে। একটা শতক ঘুরতে না ঘুরতেই সেই তিমিদের সংখ্যা পৌঁছেছে তিন হাজারে। তাও শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়াতেই।

কিন্তু সাগরের অন্যান্য প্রাণীদের মতোই দক্ষিনি তিমিদের ভবিষ্যৎও খুব উজ্জ্বল নয়। সমুদ্র জুড়ে মাছ ধরার জন্যে অনুমোদিত এলাকা বাড়ছে, সাথে আছে জাহাজের ঘনঘন ভোঁ। জলের নিচের জন্তুদের নিস্তার নেই দূষণের ঠেলায়। জীবাশ্ম জ্বালানীর সন্ধানে বিভিন্ন সংস্থার হরেক অভিযানে প্রাণ ওষ্ঠাগত কেটাশিয়ান গোত্রের প্রাণীদের। এদের মধ্যে তিমি বা ডলফিনের মতো স্তন্যপায়ীরা রয়েছে। পাল্টে যাচ্ছে তাদের স্বাভাবিক আচরণ আর জৈবিক ক্ষমতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + nine =