বিশেষ এই স্মার্টওয়াচ থেকে সাবধান

বিশেষ এই স্মার্টওয়াচ থেকে সাবধান

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৮ নভেম্বর, ২০২৪

সারা দিনে কত পা হাঁটলেন, হৃদ্স্পন্দনের হার কেমন, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কত সবই আজকাল জানতে পারা যায় স্মার্ট ওয়াচ বা ফিটনেস ব্যান্ডের দৌলতে। স্মার্টওয়াচের মধ্যে সব ধরনের ফিটনেস ট্র্যাকার থাকে। এর মধ্যে থাকে জিপিএস। প্রত্যেকের শরীরের চাহিদা অনুযায়ী আলাদা করে ক্যালোরি মাপার সুবিধাও দেওয়া থাকে। এখন আবার স্মার্টওয়াচ এবং স্মার্ট রিংগুলোর মাধ্যমে জানতে পারা যায় রক্তে ব্লাড সুগারের মাত্রা। তবে আঙুলের সূঁচ ফোটানো ছাড়াই রক্তে শর্করা পরিমাপ করতে সক্ষম এই যন্ত্রগুলো ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) দ্বারা অনুমোদিত নয় এবং ব্যবহার করা উচিত নয়, ফেডারেল কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ওষুধ, খাদ্য এবং ব্যায়ামের ফলে তাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কীভাবে ওঠানামা করে তা অবশ্যই সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সুগারের মাত্রা ভুল পরিমাপ হলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ইনসুলিনের মাত্রা বা ওষুধের পরিমাপ পরিবর্তন না করলে বিপজ্জনক পরিণতির সৃষ্টি হতে পারে, যেমন শরীরে খিঁচুনি দেখা দিতে পারে এবং মানুষ কোমাতেও চলে যেতে পারে। তবে বাজারে এমন কিছু স্মার্টওয়াচ অ্যাপ রয়েছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা রিপোর্ট করে, কিন্তু এই অ্যাপগুলো এফডিএ অনুমোদিত যন্ত্রের সাথে লিঙ্ক করা থাকে এবং ব্যক্তির ত্বকে ছিদ্র করে ক্রমাগত গ্লুকোজের মাত্রা নজরে রাখে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে এফডিএ ভোক্তাদের এমন স্মার্টওয়াচ থেকে সতর্ক করেছে। এই সতর্কতা সমস্ত স্মার্টওয়াচ বা স্মার্ট রিং-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যা ত্বকে ছিদ্র না করে রক্তে শর্করার পরিমাপ করার দাবি করে। এফডিএ কোনো নির্দিষ্ট পণ্যের তালিকা তৈরি করেনি তবে উল্লেখ করেছে যে এই ধরনের ডিভাইস বেশ কয়েকটি কোম্পানি তৈরি করে এবং একাধিক ব্র্যান্ড নামে বিক্রি হয়। এই ধরনের স্মার্ট অয়াচ বা স্মার্ট রিং প্রায়শই অনলাইন মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে বা সরাসরি তাদের নির্মাতাদের কাছ থেকে বিক্রি হয়। নির্মাতা, পরিবেশক এবং বিক্রেতারা যাতে ডিভাইসগুলো অবৈধভাবে বাজারজাত করতে না পারে সেদিকে এফডিএ নজর দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 1 =