ব্রিটেনে রসায়ন-শিক্ষা সংকোচন?

ব্রিটেনে রসায়ন-শিক্ষা সংকোচন?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ, পৃথিবী ও পরিবেশ বিজ্ঞান এবং পদার্থবিদ্যা ও জ্যোতির্বিদ্যার সাথে সংযুক্ত হয়ে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের একটি নতুন স্কুল তৈরি করবে। বিশ্ববিদ্যালয়টি আগামী তিন বছরে ৫ থেকে ১০ জন রসায়ন কর্মীর পদ ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করছে। ২৮ জানুয়ারী তারা বেশ কয়েকটি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে । যার মধ্যে তিনটি নতুন স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য একাধিক বিষয় যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেগুলি হল ডেটা সায়েন্স, কম্পিউটিং এবং গণিতের একটি স্কুল, একটি মানবিকী বিদ্যা ও সামাজিক বিজ্ঞানের স্কুল, একটি বিশ্বব্যাপী মানবিকী বিদ্যার স্কুল । বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রাচীন ইতিহাস, আধুনিক ভাষা ও অনুবাদ, সঙ্গীত, নার্সিং এবং ধর্ম ও ধর্মতত্ত্ব এই বিষয়গুলিও বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। পরিকল্পনাগুলি অনুমোদিত হলে, একাডেমিক কর্মীবাহিনী থেকে ৪০০ জন পূর্ণ-সময়ের কর্মী ছাঁটাই করা হতে পারে। যা মোট কর্মীবাহিনীর ৭ শতাংশ।
এই প্রস্তাবগুলি এখন নব্বই দিনের একটি আলাপ আলোচনা পর্বের মধ্য দিয়ে চলছে। শুধু কার্ডিফ নয়,
নানা জায়গাতেই রসায়ন বিভাগগুলি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি। এই বছরের শুরুতে হাল বিশ্ববিদ্যালয় তাদের রসায়ন বিভাগ বন্ধ করে দিয়েছে। অ্যাস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের বি এসসি রসায়ন কার্যক্রম বন্ধ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ শেষ মুহূর্তে বন্ধের স্থগিতাদেশ পেয়েছে। ২০১৯ সালে, ব্যাঙ্গর বিশ্ববিদ্যালয় তাদের রসায়ন বিভাগ বন্ধ করে দিয়েছে। এবং ২০২০ সালে, ব্রাইটন বিশ্ববিদ্যালয় তাদের স্নাতক রসায়ন কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও ছাঁটাইয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানা গেছে। রসায়নকে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের একটি নতুন স্কুলে একত্রিত করার প্রস্তাবের ফলে রসায়ন কার্যক্রমে স্নাতক ডিগ্রি গ্রহণের পরিমাণ কিছুটা কমে যেতে পারে। স্নাতকোত্তর ভেষজ রসায়ন বিষয়গুলো ফার্মেসি স্কুলে স্থানান্তরিত হওয়ার আশা করা হচ্ছে। ২০২৬ সাল থেকে বি এসসি ভেষজ রসায়ন বিষয়ে নতুন ভর্তি বন্ধ করা হবে। তবে এগুলি প্রস্তাব মাত্র । চূড়ান্ত সিদ্ধান্তগুলি কর্মী, শিক্ষার্থী এবং অংশগ্রহনকারীদের মতামতের ভিত্তিতে নেওয়া হবে। কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান, ওয়েন্ডি লারনার বলছেন তারা আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন । কারণ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদন কমছে। তারা আগের মতো কাজ চালিয়ে যেতে পারছেন না । তাই, তারা এই নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এসেছেন যেটি ভবিষ্যতে সাহায্য করবে বলে মনে করে।
তাদের বিশ্বাস, এই নতুন পরিকল্পনাটি কার্ডিফ ও ওয়েলশ বিশ্ব বি দ্যালয়ের জন্য ভালো হবে। এর ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাবও পড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − 2 =