ভবিষ্যতে মানুষের নির্ভরশীলতা বাড়বে কাসাভা আলুর ওপর

ভবিষ্যতে মানুষের নির্ভরশীলতা বাড়বে কাসাভা আলুর ওপর

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৯ মে, ২০২২

বলা হয় দক্ষিণ আমেরিকায় প্রায় সাত হাজার বছর আগে এই আলুর চাষ শুরু হয়েছিল। নাম কাসাভা। অনেকে শিমুল আলুও বলেন। কারণ লম্বাটে এই আলুকে দেখতে শিমুল গাছের পাতার মত। কিন্তু পরবর্তীতে কাসাভা আলু প্রধান খাদ্য হয়ে উঠেছিল আফ্রিকা জুড়ে। সাম্প্রতিককালে কাসাভার জনপ্রিয়তা আফ্রিকার সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের অন্যত্রও বাড়ছে। যার মধ্যে রয়েছে ভারতও। কাসাভা আলুর সেদ্ধ এই সমস্ত দেশের মানুষের মধ্যে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ভারতেও রয়েছে এর বিপুল সম্ভাবনা। আমেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ হয়ে আজ এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশে বিপুল চাহিদা। বিশ্বব্যাপী কাসাভা আলুর চাহিদা এতো পরিমান যে, কাসাভা আলুর মোট ৬০ ভাগ মানুষের খাদ্য সহায়ক। ২৫ ভাগ গাবাদি পশুর খাদ্য সহায়ক। আর বাকি ১৫ ভাগ স্টার্চ উৎপাদন হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আফ্রিকার তানজানিয়া, উগান্ডা, মোজাম্বিক, ঘানায় প্রচুর পরিমানে কাসাভা আলুর চাষ করা হয়। বর্তমানে এশিয়ায় চিন, ভারত, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও তাইল্যান্ডে প্রচুর পরিমানে কাসাভা আলুর চাষ করা হয়। কাসাভা আলু বিশ্বের প্রায় ২০০ মিলিয়ন মানুষের খাদ্য সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। বিশেষ করে আফ্রিকায় এই আলু জাতীয় খাদ্য হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে ভারতে ও বাংলাদেশে ব্যাপকহারে এই কাসাভা আলু চাষ করা হচ্ছে। আর গবেষকরা বলেন এই আলু চাষের একটা বাড়তি সুবিধে যে, যেখানে অন্য ফসলের চাষ করা যায় না সেই জমিতেও কাসাভা আলুর চাষ সফলভাবে করা যায়। এমনকী, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে আবহাওয়ার যেচরম পরিবর্তন হচ্ছে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগও বেড়ে যাচ্ছে তাতেও কাসাভা আলুর চাষ ব্যহত হয় না!