কথায় নির্দেশ দিলে তা পালন করবেবে হুইলচেয়ার। দরকার পড়লে মেডিকেল শয্যাতেও রূপান্তর করা যাবে। এমনই একটি হুইলচেয়ার উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশের রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) একদল গবেষক। কম খরচের এই হুইলচেয়ারটি দেশের প্রথম স্মার্ট হুইলচেয়ার বলে দাবি করছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও রুয়েটের অর্থায়নে গত বছরের আগস্টে শুরু হওয়া এই প্রকল্পটি শেষ হয়েছে এ বছরের মার্চে। বিষয়টি জানিয়েছেন গবেষক দলপ্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ড. মাসুদ রানা। রুয়েট গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের অধীনে পরিচালিত এ গবেষণা প্রকল্পটির পরিচালক ছিলেন তিনি।
অধ্যাপক মাসুদ রানার সঙ্গে গবেষণায় যুক্ত ছিলেন শিক্ষার্থী ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এমএসসি শিক্ষার্থী সাদমান মাহমুদ খান এবং ম্যাকাট্রোনিকস বিভাগের তৃতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াসিফ আহমেদ।
অধ্যাপক মাসুদ রানা জানান, দেশের প্রথম এই স্মার্ট হুইলচেয়ারটি মাত্র ৪০ হাজার টাকায় বাজারজাত করা সম্ভব। তাতে অনেকের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। চেয়ারটি ভয়েস কন্ট্রোল। যে কারণে প্যারালাইজড ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহারে সমস্যা হবে না। এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, ইমার্জেন্সি মেডিকেল বেডে রূপান্তর করা সহজ এটি।
এদিকে ইইজি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্রেইন ওয়েভ চেয়ারটি নিয়ন্ত্রিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি। তখন মস্তিষ্কের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে চেয়ারটি। তাতে চেয়ারটি ব্যবহার আরও সহজ হবে বলে জানান অধ্যাপক ড. মাসুদ। এরই মধ্যে চেয়ারটির পেটেন্টের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
প্রকল্পটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. মাসুদ রানা বলেন, বাংলাদেশে অনেক ডিজাবল মানুষ আছেন যাদের শরীরের অনেক অংশ কাজ করে না। এ কারণে তারা জয়িস্টিক নিয়ন্ত্রিত হুইলচেয়ারগুলো ব্যবহার করতেও সক্ষম নন। তাদের কথা ভেবেই চেয়ারটি তৈরির প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। আমরা সেটি করতে সক্ষম হয়েছি।