ভুল থেকে জন্ম ডার্ক ম্যাটারের?

ভুল থেকে জন্ম ডার্ক ম্যাটারের?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ডার্ক ম্যাটার, বাংলা তর্জমায় কৃষ্ণবস্তু। কিন্তু বিজ্ঞানীদের কৌতূহল দ্বিধা আর মতানৈক্যের শেষ নেই ব্রহ্মাণ্ডের আজব এই উপাদানকে ঘিরে। মাটির নীচে পরীক্ষায় দক্ষিণ কোরিয়া নাকি খুঁজে পেয়েছে ডার্ক ম্যাটার। আমাদের এই গ্রহের মধ্য দিয়েই বয়ে চলেছে কৃষ্ণবস্তুর স্রোত – এমনই দাবি করেছেন সে দেশের গবেষকরা। কিন্তু কতখানি সঠিক এই পর্যবেক্ষণ? প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন ডার্ক ম্যাটার শনাক্ত করার কাজে নিযুক্ত অন্যান্য দেশের বিজ্ঞানীরা।

ইতালির লা’অ্যাকুইলা শহরের কাছেই গ্র্যান স্যাসো ন্যাশানাল ল্যাবরেটরি। দু দশকেরও বেশি সময় ধরে কৃষ্ণবস্তু খুঁজে পেতে DAMA/LIBRA নামের পরীক্ষা চলছে ঐ গবেষণাগারে। শনাক্তকারী যন্ত্রের সোডিয়াম আয়োডাইড ক্রিস্টালে প্রতি বছরেই ডার্ক ম্যাটারের ঝলক নাকি দেখা যায়। যদিও ওঠানামা আছে। জুন মাস নাগাদ ফ্ল্যাশের সংখ্যা বাড়ে, আবার ডিসেম্বরের দিকে একেবারেই কমে যায়। গবেষকরা মনে করতেন এভাবেই হয়তো কৃষ্ণবস্তু ব্যাপ্ত হয়ে থাকে আকাশগঙ্গা ছায়াপথ জুড়ে।

কিন্তু এতও ছানবিন করেও DAMA/LIBRA পরীক্ষায় আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায়নি আজ অবধি। ইদানিং কোসাইন-১০০ নামের ডিটেক্টরের তথ্য এক বিশেষ উপায়ে বিশ্লেষণ করে নাকি পাওয়া যাচ্ছে একই ধরণের ওঠানামা। অর্থাৎ, বছরের নির্দিষ্ট সময়ে কৃষ্ণবস্তুর ঝলক বাড়ে, আবার অন্য সময়ে কমে।

ইলিওনিসে চিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক ড্যান হুপার হয়তো খানিক হাসছেন। ওনার মতে, তথ্য এবং তথ্য বিশ্লেষণের সময় নানান গোঁজামিল বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন। তা থেকেই হয়তো ব্যাখ্যা মিলবে কৃষ্ণবস্তুর এই নাছোড় রহস্যের।