মহাকাশে গহ্বর!

মহাকাশে গহ্বর!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা মহাকাশে গহ্বর খুঁজে পেয়েছেন। পার্সিয়াস আর বৃষ-এই নক্ষত্রের মধ্যে গহ্বরটি তাঁরা দেখতে পেয়েছেন। গহ্বরটি গোলাকৃতি। কিন্তু জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা বলছেন তার বিস্তৃতি ৫০০ আলোকবর্ষ জুড়ে! এবং জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের মতে এই গহ্বরের সৃষ্টি হয়েছিল প্রায় ১০ মিলিয়ন বছর আগে কোনও এক সুপারনোভার দ্বারা। জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ জানাচ্ছে, সেই সুপারনোভার অস্তিত্ব আর নেই। জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা থ্রি-ডি ইমেজে মহাকাশে আণবিক মেঘের সন্ধানে ব্যস্ত ছিলেন। তখনই তাঁদের এই গহ্বরের ছবিটা চোখে পড়ে যায়। গহ্বরের নামও দেওয়া হয়েছে, পার্তু-শেল। থ্রি-ডি ইমেজে প্রথমবার এরকম একটি অনাবিষ্কৃত গহ্বরের ছবি দেখা গেল। হাভার্ডের জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা এই ব্রেক-থ্রু করেছেন। একইসঙ্গে তাঁরা আরও আবিষ্কার করেছেন, পার্সিয়াস আর বৃষের মত নক্ষত্রপুঞ্জরা মহাকাশে সার্বভৌম নয়! সুপারনোভার ধাক্কাতেই তাদের সৃষ্টি হয়েছে। ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির বিজ্ঞানীরা একধাপ এগিয়ে গিয়ে জানিয়েছেন মহাকাশের বিস্তৃতি হচ্ছে! সেটা তাঁরা দেখতেও পাচ্ছেন অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ এবং থ্রি-ডি ইমেজের সহায়তায়। যেমন আণবিক মেঘের সন্ধানও থ্রি-ডি ইমেজে পাওয়া গিয়েছে। তবে মহাকাশ নিয়ে গবেষণা আধুনিক থেকে আধুনিকতম হতে পারে আগামীদিনে। কিন্তু তাতেও মহাকাশকে পুরো জানা সম্ভব হবে না। এ এক অনন্ত, অপার রহস্য! জ্যোর্তিবিজ্ঞানী ক্যাথরিন জুকেরের কথাই এই প্রসঙ্গে হয়ত মনে থাকবে। তার বক্তব্য, “থ্রি-ডি ইমেজে তো আজ দেখা গেল আণবিক মেঘকে। আমরা বহু যুগ ধরে আধুনিক টেলিস্কোপের সাহায্যে মহাকাশে আণবিক মেঘ দেখেছি! কিন্তু তারপরেও, জানা সম্ভব হয়নি, এই মেঘের আসল চেহারাটা! জানা সম্ভব হয়নি মেঘের ঘনত্ব কতটা!”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − six =