প্রজননের নিরিখে বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী হলেও মানবজাতি কি সত্যি-সত্যিই অন্যান্য প্রজাতির মতো একক প্রজাতি? এই সন্দেহের কারণ – পৃথিবীর সমস্ত ভাষা হয়তো একই পন্থায় বিবর্তিত হয় নি। আমরা দেখতে পাচ্ছি – ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ বছর আগে হোমো-ইরেক্টস (যাদের মস্তিষ্কের আয়তন ছিল ১০০০ ঘন-সেন্টিমিটার, মানে প্রায় একটা মাঝারি আকারের কফি কাপের মতো) শিকারের কারণে আফ্রিকা ছেড়ে এশিয়ায় এসেছিল। পাথরের এবং আগুনের ব্যবহার করতে শিখেছিল এই হোমো-ইরেক্টাসরা। আবার ইউরোপে নেয়নডার্থালদের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া গেছে, যার সময়কাল – ২,৩০,০০০ বছর আগে। আন্দাজ করা হয় আজ থেকে ২৮০০০ বছর আগে এদের মেরে ফেলে আজকের অর্থে যারা মানুষ অর্থাৎ হোমো স্যাপিয়েন্স। হোমো-স্যাপিয়েন্সদের আবির্ভাবের সময় ১,৯৫,০০০ বছর আগে। তার মানে প্রায় ২,০০,০০০ বছর এই পৃথিবীর বুকে একই সঙ্গে বসবাস করেছিল এই দুই প্রজাতি। এবং এদের দু-গোষ্ঠীর মধ্যে প্রজননের আদান-প্রদানের প্রমাণও মিলেছে! বিভিন্ন নেয়নডার্থাল প্রজাতির জীবাস্ম থেকে জানা গেছে যে হোমো-স্যাপিয়েন্স আফ্রিকা পরিত্যাগ করবার পর তাদের সঙ্গে নেয়নডার্থালদের যৌন মিলন ঘটেছিল। শুধু তাই নয়, ১.৫% – ২.১% মানুষের (যারা আফ্রিকার নয়) ডিএনএ এবং এন জিনোমের ৩৫%-৭০% নেয়নডার্থালদের কাছ থেকে পাওয়া। তাহলে ভাষার জিনগত প্রেক্ষিত পৃথিবীর সমস্ত মানুষের ক্ষেত্রে এক হল কী করে?