মৃত তারাও জ্বলজ্বল করছে…জানালেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা

মৃত তারাও জ্বলজ্বল করছে…জানালেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৮ জুলাই, ২০২৪
মৃত তারা

মহাবিশ্বের বড়ো অদ্ভুত বস্তু এই নিউট্রন নক্ষত্র। কী এই নিউট্রন নক্ষত্র? মহাবিশ্বে তারাদের মৃত্যুর সময় হয় প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় যাকে বলে সুপারনোভা। সেই বিস্ফোরণের সময় বিশাল তারাটির কিছু অংশ ভিতরের অত্যন্ত জোরালো বলের টানে চুপসে যায়। যদি তারাটির ভর সূর্যের ভরের তিন গুণ বেশি হয় তবে সুপারনোভার পর তার কিছুটা অংশ পরিণত হয় ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরে। আবার মৃত তারার শরীরের অবশিষ্ট অংশের ভর যদি হয় সূর্যের ভরের দেড় থেকে তিন গুণের মধ্যে, তা হলে তা পরিণত হয় নিউট্রন নক্ষত্র। যা শুধুই প্রচুর পরিমাণ নিউট্রন দিয়ে তৈরি। মহাজাগতিক বৃহত্তম অ্যাটমিক নিউক্লিয়াস হল এই নিউট্রন নক্ষত্র । এই অবিশ্বাস্য ঘনত্বের কারণে, তাদের মহাকর্ষীয় টান খুব বেশি। তাদের মাধ্যাকর্ষণ যথেষ্ট শক্তিশালী। ফলে আলোকে তারার চারপাশের কক্ষপথে টানতে পারে এবং কাছাকাছি বস্তুগুলোকে প্রায় আলোর গতিতে ত্বরান্বিত করে। নিউট্রন তারা নাম সত্ত্বেও এরা সম্পূর্ণরূপে নিউট্রাল নয়। তাদের মধ্যে কিছু বৈদ্যুতিক চার্জ থাকে, এবং তারার দ্রুত ঘূর্ণনের সাথে মিলিত হয়ে এরা শক্তি প্রদান করে কিছু বিশাল চৌম্বক ক্ষেত্রকে। এই তীব্র চৌম্বক ক্ষেত্র এবং অতিশক্তিশালী মহাকর্ষীয় পরিবেশের সংমিশ্রণে সৃষ্টি হয় কিছু অদ্ভুত ঘটনার। গবেষকরা দেখেছেন নিউট্রন তারার মাধ্যাকর্ষণের কারণে সেগুলো থেকে স্বল্প সময়ের জন্য মারাত্মক আলোর বিচ্ছুরণ ঘটে। নিউট্রন নক্ষত্রের ক্ষেত্রে, তাদের চারপাশের শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র প্রচুর পরিমাণে ফোটন তৈরি করে। সাধারণত, এই ফোটন কণাগুলো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং নিউট্রন তারাটি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, ঝকমক করে।