মৃতপ্রায় নদীতে স্রোত ফেরাতে লড়াই স্নেহার

মৃতপ্রায় নদীতে স্রোত ফেরাতে লড়াই স্নেহার

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌।
Posted on ২৮ আগষ্ট, ২০২২

বছর খানেক আগের কথা। মাত্র ৪ ঘণ্টার মধ্যে গুজরাটের নদী থেকে ৭০০ কেজি প্লাস্টিক অপসারণ করে নজির গড়েছিলেন বরোদার তরুণ পরিবেশকর্মীরা। আর তাঁদের এই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সায়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী স্নেহা শাহী। রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম’ বিশেষ স্বীকৃতিও প্রদান করেছিল তাঁকে। এবার তামিলনাড়ুর অন্যতম নদীতে প্রাণ ফিরিয়ে দিতে ফের লড়াই শুরু করলেন গুজরাটের এই তরুণী।
থুথুকুড়ি জেলার তামিরবরণী নদী। এই নদীর ধারেই অবস্থিত শিবকলাই প্রত্নকেন্দ্র। এই নদীটি যে প্রাচীনকাল থেকেই মানব সভ্যতার সঙ্গে জড়িয়ে। নদীটির সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় তাৎপর্যও কম নয়। পাশাপাশি বহু মানুষের জীবিকার উৎস এই নদীই। গত কয়েক বছর ধরেই ক্রমশ বিষাক্ত হয়ে উঠেছে এই নদীর জল। শিল্পজাত নিঃসরণ, পয়ঃনিষ্কাশন কিংবা রাসায়নিক সারের প্রভাবে আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে জলে অক্সিজেনের মাত্রা। যার ফলে প্রাণ হারাচ্ছে বহু মাছ ও কচ্ছপ।
তামিলনাড়ুর এই অন্যতম নদীটির স্বাস্থ্য ফেরাতেই এবার লড়াইয়ে নামলেন স্নেহা। তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা মিলে আগামীদিনে ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীটিতে প্লাস্টিক অপসারণ অভিযান চালাবেন। বেঙ্গালুরুর অশোকা ট্রাস্ট ফর রিসার্চ ইন ইকোলজি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট-এর সঙ্গে জোট বেঁধে নদীর স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার ও রাসায়নিক দূষণ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারেও গবেষণা চালাবেন স্নেহা।
তবে এই নদীকে দূষণমুক্ত করাই একমাত্র লক্ষ্য নয় ভাদোদরার তরুণীর। বরং, তাঁর মতে দূষণরোধ একটি চলমান প্রক্রিয়া। দূষণের উৎস চিহ্নিত করে ধারাবাহিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে, ফের মৃত্যুর দিকেই ঢলে পড়বে নদীর বাস্তুতন্ত্র। তাই কয়েক মাইল ছাড়া ছাড়াই নদীর ধারে অবজার্ভেটরি স্থাপনেরও উদ্যোগ নিয়েছেন স্নেহা। একইসঙ্গে চলছে স্থানীয়দের সচেতন করার প্রচেষ্টা।