পোকার লার্ভা কীভাবে মানুষের মৃতদেহ খেয়ে নিঃশেষ করে তা নিয়ে ডঃ পাওলা এ ম্যাগনি আজীবন গবেষণা করেছেন। তিনি কসমস সায়েন্স– কে দেওয়া একটা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তার পি এইচ ডি -র বিষয় ছিল, ফ্রিজে রাখা একটা মৃতদেহে ৩ থেকে ৪ দিনে কত ম্যাগট বা লার্ভা বাসা বাঁধে আর তার ফল কী হয় তা নিয়ে গবেষণা।
ম্যাগনির সাথে পডকাস্ট দ্য সায়েন্স ব্রিফিং-এ একটি বিশেষ ফরেনসিক সিরিজের জন্য কসমস কথা বলেছে, মৃত্যুর সময় কীভাবে বোঝা যায় তা নিয়ে সিরিজের প্রথম পর্ব। এই সিরিজের অন্য তিনটে পর্বে রয়েছে রক্তের ছিটের ভিত্তিতে প্রমাণ, ডিএনএ সংক্রান্ত প্রমাণ এবং ফরেনসিক সংক্রান্ত আলোচনা। প্রথম পর্বের মূল আলোচ্য হল – পোকার লার্ভা খুব তাড়াতাড়ি কাজ করে, যদি বুধবার ৫০০০ লার্ভাযুক্ত একটা মৃতদেহ ফ্রিজে রাখা হয় তবে লার্ভা শনিবারের মধ্যে সেই মৃত শরীরে অর্ধেকটাই খেয়ে ফেলে।
ম্যাগনি বলেছেন, বেশিরভাগ সময়ে প্যাথোলজিস্টরা লার্ভা ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলে, ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতছাড়া হয়ে যায়। লার্ভা থাকলে ম্যাগনিকে সেই কাজের সাথে যুক্ত করা হয় কারণ বেশিরভাগ লোক পোকাতে হাত দিতে চায় না, কিন্তু ম্যাগনির এ বিষয়ে কোন সমস্যা নেই। ফরেনসিক পতঙ্গ বিশেষজ্ঞ ও তদন্তকারীদের জন্য ম্যাগট বা লার্ভা খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো পর্যবেক্ষণ করে মৃত্যুর আনুমাণিক সময় তারা বুঝতে পারেন।