ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহনকারী মশা তাদের পরিসর বছরে প্রায় তিন মাইল প্রসারিত করছে

ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহনকারী মশা তাদের পরিসর বছরে প্রায় তিন মাইল প্রসারিত করছে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

মশা বাতাসের স্রোতের সাথে রাতারাতি শত শত কিলোমিটার পার করতে পারে। এই ধরনের প্রাণীরা তাপমাত্রার পরিবর্তন, আর্দ্রতা এবং বৃষ্টিপাতের প্রতিও সংবেদনশীল, তাই স্থানীয় জলবায়ু স্থির করে দেয় তারা কোথায় বেঁচে থাকতে পারে। পৃথিবীতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীদের সঙ্গে সঙ্গে মশাও নতুন নতুন অঞ্চলে হানা দিচ্ছে। এই রোগ বহনকারী মশা আজ তাই বিজ্ঞানীদের গুরুতর উদ্বেগের কারণ। বিজ্ঞানীরা সকলকে এ ব্যাপারে বহুদিন ধরেই সাবধান করেছেন ।নতুন গবেষণা অনুসারে এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণু বহনকারী মশা আফ্রিকার উষ্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে।
জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানী কলিন কার্লসন এবং তাঁর সহকর্মীরা ১৮৯৮ থেকে ২০১৬ সাল অর্থাৎ প্রায় ১২০ বছর ধরে ২২টি প্রজাতির অ্যানোফিলিস মশার পরিসরের সীমা নিয়ে অধ্যয়ন করেছেন। এর জন্য তাঁরা পতঙ্গবিজ্ঞানীদের সংকলিত ডেটাসেট ব্যবহার করেছেন। গবেষণায় দেখা গেছে ওই সময়সীমায় পৃথিবীর তাপমাত্রা ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে মশার ছড়িয়ে পড়ার জন্য পরিবেশ আরও উপযুক্ত হয়ে উঠেছে।
ফলস্বরূপ, অ্যানোফিলিস মশা প্রতি বছর ৪.৭ কিলোমিটার (প্রায় ৩ মাইল) দক্ষিণ দিকে ছড়িয়ে পড়েছে এবং প্রতি বছর ৬.৫ মিটার উচ্চতায় উড়তে পারছে। ২০১১ সালের একটা সমীক্ষা থেকে জানা যায় যে স্থলজ প্রজাতিগুলো প্রতি বছর মেরুর দিকে ১.৭ কিলোমিটার অগ্রসর হচ্ছে এবং ১.১ মিটার উপরে উড়তে পারছে যা আগের থেকে প্রায় দুই থেকে তিনগুণ দ্রুত ।