পৃথিবীর বাইরের গ্রহে, যেখানে মেঘ জলীয় বাষ্প দিয়ে তৈরি হয়, সেখানে বায়ুমণ্ডলের নীচে রাসায়নিক সংমিশ্রণের আলাদা একটা জগৎ থাকে। গবেষকদের দাবি, সেই গ্রহগুলিতে মেঘ সৃষ্টি হয় বালির সহায়তায়। এরকম মেঘেরও সন্ধান বিজ্ঞানীরা পেলেন! রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির মাসিক নোটিস জার্নালে প্রকাশিত এক সাম্প্রতিক গবেষণায় আমাদের সৌরজগতের বাইরের জগৎ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সেখানে সিলিকটের সমণ্বয়ে গঠিত মেঘের অস্তিত্ব রয়েছে, শিলা গঠনকারী খনিজ পদার্থের পরিবার যা পৃথিবীর ভূ-ত্বকের ৯০ শতাংশেরও বেশি। ওন্টারিওর লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সোপ্ল্যানেট স্টাডিজ দফতরের অধ্যাপক স্ট্যানিমির মেটশেভ, যিনি এই গবেষণার অন্যতম একজন লেখক বলেছেন, “বাদামী বামন এবং গ্রহের বায়ুমণ্ডল যেখানে সিলিকেটের মেঘ তৈরি হতে পারে সেটা আমাদের বুঝতে সাহায্য করবে পৃথিবীর আকার এবং তাপমাত্রার কাছাকাছি এমন একটি গ্রহের বায়ুমণ্ডলে কী দেখতে পাব।” মেঘ গঠনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্যগুলি নেওয়া হয়েছে নাসার অবসরপ্রাপ্ত টেলিস্কোপ স্পিতজারের পর্যবেক্ষণ থেকে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই মেঘ গঠনের প্রক্রিয়ায় মূল উপাদানটি বাষ্পে পরিণত হওয়া পর্যন্ত গরম থাকে। সঠিক অবস্থার অধীনে সেই উপাদানটি জল, অ্যামোনিয়া, লবণ বা সালফারের মত বিভিন্ন রকমের উপাদান হতে পারে। তারপর এটি ঠাণ্ডা হয় আর তখনই সেটা ঘনীভূত হওয়ার পক্ষে যথেষ্ঠ। যেহেতু, তাদের ব্যপক পরিমাণ তাপমাত্রার প্রয়োজন হয় তাই সিলিকেট মেঘ শুধু গরম জগতেই দেখা যায়।