রাক্ষুসে এক কৃষ্ণগহ্বর সক্রিয় হয়ে উঠছে

রাক্ষুসে এক কৃষ্ণগহ্বর সক্রিয় হয়ে উঠছে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২২ জুন, ২০২৪

মহাবিশ্বের কোথাও, এসডিএসএস১৩৩৫+০৭২৮ নামের একটি ছায়াপথ হঠাৎই সক্রিয় হয়ে উঠছে। বিগত চার বছরে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এসডিএসএস১৩৩৫+০৭২৮-এর কেন্দ্রে সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল বা রাক্ষুসে এক কৃষ্ণগহ্বরকে ম্লান ও শান্ত থেকে উজ্জ্বল ও সক্রিয় হতে দেখতে পেয়েছেন। এই প্রথম এই ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। গবেষকরা অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স জার্নালে এমন প্রতিবেদন পেশ করেছেন। গবেষকদের ধারণা অনুসন্ধানটি সক্রিয় গ্যালাকটিক নিউক্লিয়াস বা এজিএন-এর শক্তি প্রদানকারী প্রক্রিয়াগুলো বুঝতে সাহায্য করবে। একটি নক্ষত্রের মৃত্যুতে কৃষ্ণগহ্বরের জন্ম হয়। কৃষ্ণগহ্বরের ক্ষমতা এতটাই বেশি যে তার মধ্যে থেকে আলোও বেরোতে পারে না। গিলে নেয় ছোটো-বড়ো অনেক গ্রহ-নক্ষত্রকে। এর মধ্যে দিয়ে আলো পেরোতে পারে না বলে কৃষ্ণগহ্বরকে দেখতে পাওয়া যায় না। পৃথিবী থেকে ৩০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত, এসডিএসএস১৩৩৫+০৭২৮ ছায়াপথটি প্রথম ২০১৯ সালে বিজ্ঞানীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। সে সময় ক্যালিফোর্নিয়ার পালোমার অবজারভেটরির য্যুইকি ট্রানজিয়েন্ট ফ্যাসিলিটি লক্ষ্য করেছিল যে এটি উজ্জ্বল হচ্ছে।
কৃষ্ণগহ্বর যখন তারাদের ছিন্নভিন্ন করে, গ্রাস করে তখন ওই ধ্বংসাবশেষ ব্ল্যাক হোলের চারপাশে ঘুরতে থাকে এবং উত্তপ্ত হয়ে উজ্জ্বল বিকিরণ নির্গত করে। এই ধরনের ঘটনা অপেক্ষাকৃত ক্ষণস্থায়ী, কয়েক দিন থেকে কয়েক মাস স্থায়ী হয়। কিন্তু গবেষকরা পর্যবেক্ষণ করেছেন এসডিএসএস১৩৩৫+০৭২৮ পরবর্তী কয়েক বছর ধরে উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। এর কারণ অবশ্য বুঝতে পারা যায়নি। হয়তো একটি ছোটো স্যাটেলাইট গ্যালাক্সি এসডিএসএস১৩৩৫+০৭২৮-তে এসে আছড়ে পড়ে এবং এটি ওই ছায়াপথকে গ্রাস করছে। যদিও এই মুহুর্তে ঠিক কী ঘটছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। গবেষকরা নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ বা অন্য বড়ো ধরনের টেলিস্কোপ ব্যবহার করে পরবর্তী ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ পরিচালনা করার আশা করছেন যাতে তারা বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে পারেন।