রেকর্ড ভেঙেই চলেছে গ্রিনহাউস গ্যাস আর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা

রেকর্ড ভেঙেই চলেছে গ্রিনহাউস গ্যাস আর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

মানুষের সব শুভ উদ্যোগকে পরাজিত করে জলবায়ু পরিবর্তনের জ্বালা বেড়েই যাচ্ছে। মার্কিন সরকার গত বুধবার এক রিপোর্টে বলছে, ২০২১ সালেও গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ আর সমান তালে সমুদ্রতল, নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে।

খামখেয়ালি আবহাওয়া যে পৃথিবী জুড়েই মন্দ প্রভাব বিস্তার করে চলেছে, সে ব্যাপারে বৈজ্ঞানিক প্রমাণের তালিকাও বাড়ছে। উষ্ণায়নে লাগাম টানার এতও প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সাফল্যের নামগন্ধ নেই। এমনই হতাশার শুঁড় রিক স্পিনরাডের গলায়। অ্যামেরিকার ন্যাশানাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশানের মুখ্য প্রশাসক তিনি।

কোভিড অতিমারির জন্যে এমনিতে কার্বন জ্বালানির ব্যবহার কিছুটা শিথিল হয়েছিল। সারা দুনিয়া জুড়েই উৎপাদন ক্ষেত্রের গতি ছিল অনেকটাই মন্থর। তার পরেও গ্রিনহাউস গ্যাসের বৃদ্ধির হার এতটুকুও কমেনি।

ঐ মার্কিন সংস্থা জানিয়েছে, গ্রিনহাউস গ্যাসের ঘনত্ব একুশ সালে ৪১৪.৭ পিপিএম যা ২০২০-র তুলনায় ২.৩ একক বেশি।

টানা দশ বছর ধরে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। আগের বছর ৩.৮ ইঞ্চি বেড়েছে, যেটা একটা রেকর্ড ১৯৯৩ সাল থেকে শুরু করা হিসেব অনুযায়ী। উনিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে যদি ধরা হয়, ২০২১ ছিল উষ্ণতম ছ’টা বছরের মধ্যে একটা। আবার, শেষ ৭ বছরের প্রত্যেকটাই জলবায়ুর ইতিহাসে সবচেয়ে গরম বছর।

বেড়েছে নিরক্ষীয় ঝঞ্ঝার সংখ্যাও। গত বছর রাই নামের টাইফুনে ৪০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল ফিলিপিন্সে। সেটা ডিসেম্বর মাসের কথা। এরপর ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে আছড়ে পড়া হ্যারিকেন ইডা। ক্যাটরিনার পর ওটাই ছিল লুসিয়ানার সবচেয়ে বিধ্বংসী হ্যারিকেন।