রেড মিটের পরিবর্তে খাদ্য তালিকাতে রেড শৈবাল অর্ন্তভুক্ত করা প্রয়োজন

রেড মিটের পরিবর্তে খাদ্য তালিকাতে রেড শৈবাল অর্ন্তভুক্ত করা প্রয়োজন

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

কুইন্সল্যাণ্ডের গবেষকরা বলছেন, সামুদ্রিক শৈবাল যদি আমরা আমাদের খাদ্য তালিকাতে অর্ন্তভুক্ত করতে পারি, তাহলে কার্বন পুলে কার্বন সংরক্ষণ (carbon sequestration) প্রক্রিয়া বাড়বে, অর্থাৎ বায়ুমণ্ডল থেকে গ্রিনহাউস গ্যাস বা যা থেকে গ্রিনহাউস গ্যাস তৈরি হতে পারে তা সরিয়ে দেবে, জীববৈচিত্রের ক্ষতি হওয়া কমবে, এবং খাদ্যসঙ্কট কমবে।
তারা লাল সামুদ্রিক শৈবালের একটা প্রজাতি, অ্যাসপারাগপসিস (Asparagopsis)- এর ওপর গবেষণা করে দেখেছেন, এটা মানুষের খাদ্যতালিকাতে প্রাণীজ প্রোটিনের বিকল্প হিসাবে অর্ন্তভুক্ত করা যেতে পারে। উপরন্তু এই ছত্রাকের জৈবজ্বালানীতে প্রস্তুত হওয়া মিথেন গ্যাস হ্রাস করার ক্ষমতাও আছে।
তারা এটাও দেখেছেন, সামুদ্রিক শৈবাল চাষের ফলে, ২.৬ বিলিয়ন টন গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো যায়। এই শৈবাল উৎপাদনের জন্য আদর্শ স্থান হল অস্ট্রেলিয়ান ও ইন্দোনেশিয়ান অঞ্চলের সামুদ্রিক স্থান।
প্রসঙ্গত তারা বলেছেন, যদি প্রতি মানুষের খাদ্যের দশ ভাগের মধ্যে মাত্র এক ভাগ সামুদ্রক শৈবাল রাখা যায়, তাহলে মাটিতে ১০০ মিলিয়ন হেক্টর জমি চাষ করার প্রয়োজন পড়েনা। গবেষকরা জানিয়েছেন এই মাটির পরিমাণ নিউ সাউথ ওয়েলস এবং ভিক্টোরিয়ার মোট জমির সমান।
কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক স্কট স্পিলাস বলেছেন যে সামুদ্রিক শৈবাল চাষ পশ্চিমী দেশগুলির ক্ষেত্রে কার্বন নির্গমন রোধ করা এবং খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলার প্রচেষ্টা হিসাবে একটা কার্যকরী ও অর্থনৈতিক সুযোগ হতে পারে।