শিল্পকলাকে বাঁচানোর নয়া অস্ত্র ব্যাকটিরিয়া

শিল্পকলাকে বাঁচানোর নয়া অস্ত্র ব্যাকটিরিয়া

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৭ জানুয়ারী, ২০২২

প্রাচীন শিল্পকলাকে বাঁচানোর জন্য তাদের শরীর থেকে নিয়মিত ময়লা অপসারণের কাজ চলে। সাধারণত বিভিন্নরকমের রাসয়নিক পদার্থের সহায়তায় এই ময়লা অপসারণের কাজ চলে। বর্তমানে লেজার টেকনোলজিও এসে গিয়েছে এই কাজ করার জন্য। কিন্তু এবার ময়লা অপসারণের কাজ হবে ব্যাকটিরিয়ার সহায়তায়। ১৯৮০ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যাকটিরিয়ার ব্যবহার করা হয়েছিল। লুইসভিল স্টেটে কেভ হিল সমাধিস্থলে প্রথমবার পরীক্ষা করা হয়েছিল ব্যাকটিরিয়ার। সমাধিক্ষেত্রের প্রতিটি সমাধি স্তম্ভই পরিষ্কার করা হয়েছিল ব্যাকটিরিয়ার সাহায্যে। সাধারণ একটি জেলের সঙ্গে বিশেষ ওই ব্যাকটিরিয়াটি মিশিয়ে সমাধিস্তম্ভগুলোর গায়ে মাখিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ের পর ওই জেলটি মুছে দিলেই পাথরের স্তম্ভ সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। কারণ ওই নির্দিষ্ট সময়ে ব্যাকটিরিয়া পাথরের গায়ে লেগে থাকা সমস্ত দূষক পদার্থকে খেয়ে হজম করে ফেলেছে। কেভ হিলের পর ২০১৩-তে ইতালিতেও ব্যাকটিরিয়ার সহায়তায় বিভিন্ন প্রদর্শনীশালায় প্রাচীন শিল্পকলার সংরক্ষণ করা হয়েছে।
ভারতেও কিছু গবেষণাকেন্দ্রে এই পদ্ধতির প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এখনও পরীক্ষামূলকভাবেই হচ্ছে প্রয়োগ। কিন্তু ভারতে ব্যাকটিরিয়ার ব্যবহার শুরু হলে অনেক প্রাচীন স্তাপত্য, শিল্প, এমনকী, তাজমহলের গায়েও যে কার্বনের আস্তরণ পড়ছে সেটাও পরিষ্কার করতে সুবিধে হবে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে শিল্প, স্থাপত্য রাসয়নিক পদার্থের সাহায্যে পরিষ্কার করলে স্থাপত্যেরও ক্ষতি হয়।
ব্যাকটিরিয়া মানে তাহলে শুধু রোগের সংকেত নয়, সে ইতিহাসকেও বাঁচিয়ে রাখতে পারে!