সংস্কৃতের অতিপ্রাচীন সমস্যার সমাধান হল অবশেষে

সংস্কৃতের অতিপ্রাচীন সমস্যার সমাধান হল অবশেষে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২০ ডিসেম্বর, ২০২২

ধন্দটা ছিল ব্যাকরণে। কিন্তু সমস্যার বয়েস প্রায় ২৫০০ বছর। খৃস্টপূর্ব পঞ্চম শতক থেকেই সংস্কৃত পণ্ডিতরা এই ধাঁধার সমাধান করতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হয়েছেন বারবার। শেষমেশ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ভারতীয় ছাত্রের বুদ্ধিতেই তালা খুলে গেল রহস্যের।
ভারতীয় ব্যাকরণতত্ত্বের জনক বলা হয় পাণিনিকে। পাণিনির একটা নিয়মই এতদিন ধরে অন্ধকারে রেখেছিল পণ্ডিত-গবেষকদের। একটা বিশেষ ফরমুলা – বলা যায় ‘ভাষা যন্ত্র’। এটা ব্যবহার করে ব্যাকরণগতভাবে সঠিক যেকোনো সংস্কৃত শব্দ তৈরি করা সম্ভব। হিন্দুশাস্ত্রের ইতিহাসে এই আবিষ্কারকে একেবারে উচ্চকোটিতে রাখা হয়।
কেমব্রিজের যে পিএইচডি ছাত্র এই অসম্ভবের সমাধান করে দেখালেন তাঁর নাম ঋষি রাজপোপাট। উনি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতের অধ্যাপক ভিনসেঞ্জো ভার্জিয়ানির অধীনে গবেষণা করছিলেন। ঋষি বলছেন অধ্যাপক ভিনসেঞ্জোর সাবধানবাণীর কথা – ‘যদি সমাধান জটিল হয়, তাহলে সম্ভবত ভুল সমাধান সেটা’।
রাজপোপাটের আবিষ্কারের পর নতুন একটা অ্যালগরিদম তৈরি হবে। সেটা সরাসরি ব্যবহার করা যাবে কম্পিউটারে। এমনকি আমাদের দেশে সংস্কৃত ভাষাকে আবার জনপ্রিয় করে তুলতেও হয়তো এই প্রযুক্তি কাজে লাগানো যেতে পারে।
অ্যাপোলো নামের পত্রিকায় প্রকাশিত হল গবেষণাপত্রটা।