সময়ের আগেই কেন বয়ঃসন্ধি, অতিমারির অন্য খবর

সময়ের আগেই কেন বয়ঃসন্ধি, অতিমারির অন্য খবর

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

গোটা পৃথিবী জুড়ে জনস্বাস্থ্যে কোভিডের কুপ্রভাবের তালিকা নিতান্ত ছোট নয়। সময়ের আগেই বয়ঃসন্ধির আবির্ভাব ঘটছে বালিকাদের শরীরে। সংখ্যাটা কম নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই সমস্যাকে ইডিওপ্যাথিক প্রিকোশিয়াস পিউবার্টি বলা হয়, যা মোটেই স্বাভাবিক বৃদ্ধির লক্ষণ নয়।

কিছুদিন আগেই ইউরোপের ৬০তম বার্ষিক পেডিয়াক্ট্রিক এন্ডোক্রিনোলজির সভা বসেছিল ইতালির রোম শহরে। সংক্রমণের সাথে অস্বাভাবিক বয়ঃসন্ধির কোনও সম্পর্কই হয়তো নেই, এমনই মতামত উঠে এসেছে সভায়। বরং ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্মার্টফোনের পর্দায় চোখ রেখে সময় কাটানো কারণ হলেও হতে পারে।

যদিও প্রাথমিক গবেষণাটা হয়েছিল ইঁদুরের উপর, যথারীতি। তুরস্কের গাজি বিশ্ববিদ্যালয় আর আঙ্কারা সিটি হসপিটালের বিজ্ঞানীরা ১৮জন অল্পবয়েসি মেয়ে ইঁদুরের সামনে রেখেছিলেন এলইডি আলো। দেখা গেল, ঐ নীল আলোতে ইঁদুরের দেহে যৌবনের চিহ্ন তুলনায় বেশিই এসেছে।

নীল আলোর আবহে মেলাটোনিনের মাত্রা পাল্টে যায়। যৌন হরমোনের পরিমাণও বাড়তে পারে, ফলে ইঁদুরের শরীরে বয়ঃসন্ধি সময়ের আগেই এসেছে। এমনই মতামত রাখলেন গাজি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ আয়লিন কিলিঞ্চ উগুরলু। উনি এই গবেষণার মুখ্য হোতা।

কেবল তুরস্কেই ২০১৯ সালের এপ্রিলে ২৫ জন বালিকা আগাম বয়ঃসন্ধির সমস্যায় ভুগছিল, কুড়ি সালের মার্চে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৫৮তে। গবেষকরাও নানা যুক্তি দিয়েছিলেন। ফাস্ট ফুড বেশি খাওয়া অথবা অতিমারির ভয়। যদিও প্রোফেসর উগুরলু বলছেন, ইঁদুরের ক্ষেত্রে নীল আলোকে দোষ দিলেও মানুষের শরীরের জন্যেও যে একই হবে তেমন না। তবে, স্মার্টফোনের ব্যাপারটা বালিকাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রধান একটা ঝুঁকির কারণ হতে পারে।