সহানুভূতিশীল মনে ধরা পড়ে পশুদের আবেগ

সহানুভূতিশীল মনে ধরা পড়ে পশুদের আবেগ

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২

গোরু, ছাগল, ভেড়া, শুয়োর, ঘোড়া বা অন্যান্য প্রাণীদের শুধুমাত্র ডাক শুনে বলতে পারবেন যে ওই প্রাণীটা আনন্দে আছে না কষ্টে আছে? যদি আপনি বলতে পারেন, তবে বলা যেতে পারে যে আপনি প্রাণীদের প্রতি সহানুভূতিশীল বা আপনি পশু পাখিদের নিয়ে আপনার বেশ কিছুটা সময় ব্যয় করেন।
ডেনমার্কের ইউনিভার্সিটি অফ কোপেনহেগেনের, প্রাণীদের আচরণ নিয়ে কাজ করা গবেষক ইলোডি ব্রিফারের নেতৃত্বে একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে মানুষের মধ্যে যারা বেশি সহানুভূতিশীল তারা শুধুমাত্র প্রাণীদের ডাক শুনে তাদের আবেগ বা মনের ভাব বুঝতে পারেন। এই গবেষণাপত্র রয়্যাল সোসাইটি ওপেন সায়েন্সে প্রকাশিত হয়েছিল।
২০২২ সালের শুরুর দিকে ব্রিফার প্রাণীদের আচরণের উপর একটা গবেষণা করেন। তিনি একটা অনুমানের সাপেক্ষে বলেন যে প্রাণীরা মানুষের কণ্ঠে আবেগ শুনে বুঝতে পারে এবং তাতে সাড়া দেয়।এই গবেষণাকে অনুসরণ করেই আজকের গবেষণাটা শুরু হয়। ব্রিফার এবং তার সহকর্মীরা গৃহপালিত পশু যেমন- শুয়োর, ঘোড়া, ছাগল ও অন্যান্য গবাদি পশু এবং বন্য প্রাণী যেমন-বন্য শুয়োর এবং বন্য প্রজেওয়ালস্কি প্রজাতির ঘোড়ার ডাক রেকর্ড করেন।
এই রেকর্ডিংগুলোর মধ্যে কিছু ইতিবাচক শব্দ পাওয়া গেছে, যেমন একটা প্রাণী খাবারের অপেক্ষা করছে বা বন্ধুর সাথে পুনরায় মিলিত হচ্ছে। যখন পশুটা ভয় পায়, চাপে থাকে বা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে তখন তার আওয়াজ পালটে গিয়ে অন্যরকম হয়।
গৃহপালিত প্রাণীদের হৃদস্পন্দন এবং বন্য প্রাণীদের গতিবিধির শব্দ রেকর্ড করে তাদের আবেগ কতটা জোরালো তা অনুভব করা গেছে। এই গবেষণা থেকে বোঝা যায় সকল স্তন্যপায়ী প্রাণীর আবেগ আদানপ্রদানের একটা প্রবণতা থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + nine =