সাবধান! ঝরে পড়া চুল, থুথু ফেলা থেকেই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য বিজ্ঞানীরা জানতে পারবেন

সাবধান! ঝরে পড়া চুল, থুথু ফেলা থেকেই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য বিজ্ঞানীরা জানতে পারবেন

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৯ মে, ২০২৩

আমাদের শরীরের যে কোন অংশ যেমন চুল বা চোখের পাতা খসে পড়ে, অথবা খসে পড়া চামড়া বা আমরা যখন থুথু ফেলি তার মধ্যে আমাদের নিজস্ব রাসায়নিক সংকেতযুক্ত DNA বর্তমান থাকে।
নতুন এক গবেষণায় বলা হচ্ছে প্রযুক্তিকে এত উন্নত করা সম্ভব হয়েছে যে, তার সাহায্য নিয়ে মাটি, বাতাস, জলে মানুষের DNA- র টুকরো টাকরা ঝড়তি পড়ে থাকা অংশ থেকে যে কোন একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্যাবলী জানা সম্ভব। কিন্তু গবেষকরা সাবধানবাণী শুনিয়েছেন, এই তথ্য জানা যতই কার্যকরী হোক না কেন, সমাজে এর ফলাফল কী হবে তা যথেষ্ট চিন্তার বিষয়।
ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিজ্ঞানী ডেভিড ডাফি পরিবেশে পাওয়া মানুষের DNA- র কোড উদ্ধারের সীমাবদ্ধতা নিয়ে কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেছেন, যখনই প্রযুক্তির কোন অগ্রগতি হয়, তখন তা যেমন হিতকর কাজে লাগানো যায় তেমন প্রযুক্তি অপব্যবহারের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এজন্য তারা তাদের কাজের পাশাপশি, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট যে সমস্যা আসার সম্ভাবনা আছে তা সকলের সামনে রাখছেন, যাতে সময় থাকতে পলিসি নির্ধারক ও সমাজ তা নিয়ে আইন আনতে পারেন।
পৃথিবীপৃষ্ঠে গাছ-পালা ও প্রাণীর নানা কোশ, মাইক্রোবের খন্ডাংশ ছড়িয়ে আছে, যা গবেষকরা পরিবেশগত DNA বা e’ DNA নামে অভিহিত করেছেন। এই e’ DNA –র ছোট্ট ছোট্ট টুকরো থেকে খুব দ্রুততার সাথে DNA– র কোডিং করে গবেষকরা একটা বাসস্থানে উপস্থিত সমস্ত জীবের একটা তালিকা তৈরি করতে পারেন। এই কাজ এত দ্রুত করা সম্ভব, যা সরাসরি মাঠে কাজ করে জানতে গেলে অনেক সময় ও অর্থ খরচ হবে। এখানে যে প্রশ্ন উঠে আসছে, তা হল এক্ষেত্রে কী এই কাজের জন্য সম্মতি প্রয়োজন, নাকি মানুষের DNA- র তথ্য জানার জন্য কিছু নিয়ন্ত্রণ বিধি আনা প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − three =